খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে বিশ্ব।এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিনিয়ত হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকার সমস্যা। আর এই বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য খোদ সরকার প্রধানও উদ্দ্যোক্তা হবার ব্যাপারে বেকার যুবকদের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন।ওলখাপড়া শেষ করে সেই আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে অনেকেই হয়ত হতাশার ভীরে নিজেকে তলিয়ে ফেলতে যাচ্ছেন। ভাবছেন কীভাবে শুরু করবেন। কি নিয়ে শুরু করবেন? যে দেশে অভিজ্ঞতা ছাড়া কোন চাকরীই হয়না সেদেশে একজন অনবিজ্ঞ ছেলে বা মেয়ে উদ্দ্যোক্তা হওয়ার মতো ভয়ংকর এই ঝুঁকিই বা নিবেন কিভাবে? এমন সব হাজারো প্রশ্নের নীলসাগরে হাবুডুবু যারা খাচ্ছেন তাদের জন্য আশার আলো হতে পারে হোমিওপ্যাথি। ভাবুন । সিদ্ধান্ত নিন। মোটামুটি বা বেশি পুঁজি থাকলে এই সেক্টরে আপনি হতে পারেন একজন পাইকারী ব্যবসায়ী। আর পুঁজি কম থাকলে আপনি হতে পারেন কল্যাণ ও সেবামুখী পেশার একজন গর্বিত চিকিৎসক।
করোনাকালীন এই সময়ে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী অনেক বেকার সময় পার করছেন তারা এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিন হোমিওপ্যাথি বিষয়ক পুস্তকাদি অধ্যায়নের মাধ্যমে। এই বিষয়ে কিছু জ্ঞান অর্জনের পরই আপনি যেতে পারেন নিকটস্থ হোমিওপ্যাথি কলেজে ভর্তি হতে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি আপনি ডিএইচএমএস ডিগ্রিটা অর্জন করে ফেলুন। দেখবেন আপনাকে আর বেকার থাকতে হচ্ছেনা। একটা কথা মনে রাখবেন, যারা এখনো একাদশ/দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছেন তারা একটু চেষ্টা করলেই ভবিষ্যতে এইএসসি পাশের পর ভর্তি হতে পারবেন সরকারী হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ এর বিএইসএমএস কোর্সে।
যারা সে সময় পার করে ফেলেছেন, তাদের জন্য শুধুমাত্র এসএসসি পাশ থাকলেই যে কোন হোমিওপ্যাথি কলেজে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনেকেই হয়ত মনে করে থাকতে পারেন হোমিওপ্যাথিতে ক্যারিয়ার নেই, তারা ভুলের মধ্যে বসবাস করছেন।
বাংলাদেশে এখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যাবস্থা উন্নতির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। আসছে এই পেশায় অনেক অনেক মেধাবীরা। একজন সাধারণ হোমিও ডাক্তারও মাসে কমপক্ষে 20/30 হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন। কিন্তু 20/30 হাজার টাকা বেতনে চাকরি পাওয়াতো বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন বিষয় এবং অভিজ্ঞতার বহু বছর পার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে একটু সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিন আর সময় দিতে থাকুন হোমিওপ্যাথি বিষয়ক জ্ঞান অর্জনে।