১৯৪৫ সালে বাংলাদেশ লাগোয়া মিজো’রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জ’ন্ম জিওনার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথমবার বিয়ে করেন তিনি। আর সব সাধারণ মানুষের মতো একটি বিয়ে করে সন্তু’ষ্ট থাকতে চাননি। জিওনা এরপর একের পর এক বিয়ে ক’রেছেন।
একপর্যায়ে ৩৯ জন নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এতো জন স্ত্রী বিশ্বে আর কারো নেই। তিনি এক বছরে সর্বাধিক দশটি বিয়ে করার রেকর্ডও গড়েছেন। আর সব স্ত্রীই তার স’ঙ্গে থাকেন।
গত ১৩ মা’র্চে লন্ডন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে প্র’কাশিত এক সংবাদে জা’না যায়, পৃথিবীর সব থেকে বড় পরিবার প্রধান হলেন জিওনা চানা। তার ৩৯ জন স্ত্রী রয়েছেন। এছাড়াও ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন পুত্রবধূ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জা’না যায়, মিজো’রামের বাসি’ন্দা জিওনার বাড়িটিও সংসারের মতোই বড়। ১০০ ঘরের বাড়িতে সবাইকে এক স’ঙ্গে নিয়ে বাস করেন তিনি। সব স্ত্রীর ঘরই তার ঘরের পাশেপাশে। বিয়ের দিন অনুযায়ী তারা দূ’রে বা কাছে থাকেন। অর্থাৎ, প্রথম স্ত্রী থাকে সবচেয়ে দূ’রে আর শেষ বিবাহ করা স্ত্রী জিওনার ঘরের একদম পাশে। তবে সবারই জিওনার ঘরে ঢোকার অনুমতি আছে।
সব ছেলেরাই জিওনার বাড়িতে নিজেদের স্ত্রী নিয়ে থাকেন। জিওনার পরিবারে স্ত্রীদের ও ছেলেদের আলা’দা ঘর থাকলেও রান্নাঘর একটাই। অর্থাৎ, জিওনাসহ ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন ছেলে মেয়ে ও ৩৩ জনের খাবার এক স’ঙ্গেই রান্না করা হয়।
জিওনার পরিবারের প্রতিদিন একশ কেজি চাল আর ৭০ কেজির বেশি আলু রান্না করা হয়। আর যেদিন মাংস হয় সেদিন তো ৬০ কেজি আলু আর ৪০টিরও বেশি মুরগি লাগে। জিওনার ছেলেরা সবাই চাষের কাজ ও পশুপা’লন করায় পরিবারে খাদ্যের অভাব নেই মোটেও।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের প্রধান হয়েও জিওনা এখানে থামতে চাননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের ক’র্তা ‘হতে পেরে গর্বিত। আমি আরো বাড়াতে চাই এই পরিবার। আমা’র দেখভাল করার জন্য এখন অনেকেই রয়েছে। এটাই পরম শান্তির।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের জন্য আলা’দা স্কুলও বানিয়েছেন জিওনা। সেখানে তার ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-নাতিনিরা পড়াশোনা করেছে কিংবা করে। সেই স্কুলটি সরকারের কিছু অনুদানও পায়।