পাংশা,বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর মানুষ হারুনকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়
জাহাঙ্গীর হুসাইন, পাংশা থেকে ফিরে #
পাংশা, বালিয়াকান্দি এবং কালুখালী তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী ২ আসন।
এই এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলবল নির্বিশেষে সব মানুষের মুখে মুখে আলোচনা চলছে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদকে নিয়ে।
আগামি নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে সাংসদ হিসেবে তাকেই দেখতে চায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
কারণ হিসেবে এলাকা বাসীর দাবি, বিগত স্বৈরশাসন আমলে জেল, জুলুম, পুলিশি হয়রানিসহ সকল প্রতিকুল পরিবেশে উপেক্ষা করে জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে জনগনের পাশে ছিলেন। তারা বলেন, মানুষের সুখেদুঃখে সব সময় এলাকায় ছিলেন হারুন অর রশিদ হারুন। এ ছাড়া ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে হারুন রাজবাড়ী জেলার মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। তার বিকল্প কেবল তিনিই।
এ ব্যাপারে, পাংশার একটি স্কুলের শিক্ষক সাকী মাহবুব জানান, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসন আমলে পাংশা বালিয়াকান্দি এবং কালুখালী এলাকায় কসাইখ্যাত এমপি জিল্লুল হাকিম এবং তার ছেলে মিতুল হাকিমের নেতৃত্বে একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিলো।
এই এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন ছিলো ত্রাহিত্রাহি অবস্থায়। এখন সে যুগের অবসান ঘটেছে। মানুষ শান্তি ও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। সাকী মাহবুব আরো বলেন, এই এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে আমার দাবী জননেতা তারেক রহমানের ঐকান্তিক ভালোবাসায় জনগণের দাবী পূরণে হারুন অর রশিদ হারুনকেই বিএনপি নমিনেশন দিবেন। এটিই জনগনের প্রত্যাশা।
কালুখালী এলাকার এক বিএনপি সমর্থক বলেন, বিগত স্বৈরশাসকের আমলে বিএনপির নেতা হিসেবে আমরা হারুন ভাইকেই পেয়েছি। কেন্দ্রঘোষিত সকল আন্দোলন সংগ্রামে, সকল কর্মসূচীত আমরা হারুন ভাইকেই মাঠে ময়দানে পেয়েছি। অন্য সকল নেতারাতো ঘরে বসে ছিলো। হারুন ভাই সব সময়ই মানুষের পাশে ছিলো। আছে। থাকবে।