আজকে একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে দুটি কথা লেখতে বসলাম। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক তৎপরতায় আমি মূগ্ধ। তাদের যে, বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে আপোষ মিমাংশা, জোট মহাজোটের গুঞ্জরণ তা আমার মত ইসলামপ্রিয় বহুমানুষের কাছে আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো এক সময়ে আমিও চরমোনাইয়ের মাহফিলে গিয়েছিলাম। মাহফিলে তিনচারটি বা তারও অধিক মাঠ ভক্ত মুরীদের জিকিরে প্রকম্পিত হয়েছিলো। আগে পরেও নাকি এই রকমই লোক সমাগম ঘটে। বয়ানসহ নানা কর্মসূচী থাকে সেখানে। যেমন আম বয়ান, খাস বয়ান, রাজনৈতিক মঞ্চ, ছাত্র আন্দোলনের মঞ্চ ইত্যাদি। মাঝে মাঝে মানুষ মারা গেলে জানাজা হয়।দারুন বরকতি মৃত্যু নসিব সকলেরই হয়না। প্রচুর লোক সমাগম হওয়ায় বাজার বসে। ভিন্নরকম এক আয়োজনে মূগ্ধতা ছড়ায় কীর্তনখোলা নদীর চরে। এরই মাঝে বিভিন্ন খাতে কালেকশন চলে। মাশাআল্লাহ। টাকার কোনো অভাব নেই। চরমোনাই মাদরাসা, মসজিদ, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি আন্দোলন, মুজাহিদ কমিটি নানান খাতের স্বেচ্ছাসেবকরা কালেকশন করে থাকেন। সেখান গিয়ে সাহিত্য সাংবাদিকতার উপর রাহনুমা প্রকাশনীর কিছু বইয়ের পাশাপাশি মুজাহিদ প্রকাশনীর কিছু বই পুস্তকও কালেকশন করেছিলাম আমি। এর মধ্যে ভেদে মারেফত ও আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহি অন্যতম। বইগুলি পড়েছিলাম তখনি। সম্ভবত দুই হাজার বারো কিংবা তেরো সালের ঘটনা। সঠিক সালকাল মনে নেই। আজ সেই বিষয়ে একটু লেখার চেষ্টা করছি। তথ্যগত কোনো ভুল থাকলে সংশোধনের ইচ্ছা আছে। মুফতি ফয়জুল করিম পীর সাহেব কোনো একটি বিশেষ দলের আক্বীদা ঠিক করার ব্যপারে শর্ত দিয়েছেন। তাদের যেসকল বিষয়ে আপত্তি তোলা হয় তার উপরও কিছু বই পুস্তক পাঠের সুযোগ আমার হয়েছে। তা অন্য একটি নিবন্ধে তুলে ধরার ইচ্ছে আছে। তারা এসকল শর্তগুলো মানবেন কিনা তা নির্ধারণ করবে তারাই। তবে ওই দলটিও যদি চরমোনাইয়ের নিম্নবর্ণিত আক্বিদাগত প্রশ্নে শর্তারোপ করেন তাহলে হয়ত জোট বা ঐক্য সুদুর পরাহতই রয়ে যাবে।
১। আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-৬০)
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
আয়াতুল কুরসিতে আছে,”‘কে সেই ব্যক্তি; যে তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতিত তাঁর সমীপে কারো জন্য সুপারিশ করতে পারে?’”
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হাশরের ময়দানে সর্ব প্রথম আমি সমস্ত উম্মতের জন্য সুপারিশ করবো। একে ‘মাকামে মাহমুদ’ বলা হয়। যা প্রিয়নবির জন্য খাস; অন্যের জন্য নয়।” (তাফসিরে মারেফুল কুরআন)
(৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিতকরে। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-১৫)
আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা শুধু অনুমতি দিয়েছেন ঈসা (আ.)-কে তাও কেবল মাজেজা হিসেবে। এটা তাঁর বিশেষত্ব ছিল, যেটা কোরআন উল্লেখ করেছে এই বিশেষত্ব। যদি এর পরবর্তী সময়ে এবং এর আগের সময়ে কাউকে এই অনুমোদন দেওয়া হতো, তাহলে এটার আর কোনো বিশেষত্ব থাকত না। আর এর মাজেজাও থাকত না। তাহলে এটা খুব সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত হতো। এভাবে কোনো সাধারণ বিষয় হিসেবে কোথাও এটি প্রমাণিত হয়নি।
(৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া পৃষ্ঠা-৫৫)
بسم الله الرحمن الرحيم
মূল জরুরি বিষয় হল, নিজের আত্মাকে যাবতীয় গুনাহর চিন্তা থেকে পরিশুদ্ধ করে নেক আমলের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। নিজেকে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচিয়ে রেখে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। (সূরা আশ শামস ৯, ১০)
অন্যত্র তিনি বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা ২০৮)
আর উক্ত বিষয়টা একজন হক্কানি পীরের দিকনির্দেশনা পেলে সহজ হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা সুন্নাত। মুহাদ্দিস আবদূল হক্ব মুহাদ্দেসে দেহলভী রহ. তার ‘কওলুল জামিল’ কিতাবে লিখেন, বায়আত গ্রহণ করা তথা হক্কানি পীরের মুরিদ হওয়া সুন্নাত।
সুতরাং পীরের মুরিদ হওয়া ফরজ; এজাতীয় কথা বলা বাড়াবাড়ি। অনুরূপভাবে ‘পীরের প্রয়োজন নেই’ একথা বলাও উচিত নয়। আমাদের উচিত সকল বাড়াবাড়ি এবং ছাড়াছাড়ি থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তাওফীকদা।
৫. মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা
নবীদের চেয়েও বেশী। (আশুক- মাশুক ৮৮-৯০)
ওলী বা মুত্তাকীদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা অনেক প্রশংসা করেছেন।
তাদের ব্যাপারে অনেক সুসংবাদও আছে।
তবে নবুওয়ত আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। নবুওয়তের সাথে ওলী বা মুত্তাকীদের মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তোলা গোমরাহী ছাড়া কিছুই নয়। বরং নবীদের সম্মানের সাথে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। নবীগন ওহীপ্রাপ্ত। আর ওলীগণ এলহামপ্রাপ্ত। এলহাম আর ওহীর পার্থক্য বিস্তর। ওহী আল্লাহর আইন আর এলহাম বড় জোড় সতর্কতার জন্যও হতে পারে।
কোন মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, ওহীর মাধ্যমে কিংবা পর্দার অন্তরালে অথবা দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে আল্লাহ্ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন। তাঁর ইচ্ছানুসারে তাঁরই অনুমতিক্রমে দূত (জিবরীল বা অন্য ফেরেশতা) ওহী আনয়ন করে থাকেন। নিশ্চয় তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়। (সূরা শূরাঃ ৫১)
আল্লাহ বলেন,
তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তোমরা তারই অনুসরণ কর, তা ব্যতিরেকে কোন ওলী-আউলিয়ার অনুসরণ কর না। (সূরা আরাফঃ ৩)
আল্লাহকে চেনা ও জানার জন্য তাঁর প্রদত্ব কিতাব ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত ব্যতীত তৃতীয় কোন রাস্তা নেই। এজন্যেই নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে বলেছিলেনঃ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ আমি তোমাদের জন্যে দুটি বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি, তোমরা যতক্ষণ তা আঁকড়ে ধরে থাকবে (অর্থাৎ তার অনুসরণ করবে) কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব অপরটি হচ্ছে তাঁর নবীর সুন্নাত তথা জীবনাদর্শ। [. মুআত্বা মালেক হা/ ১৫৯৫]
(৫) আল্লাহর আন্দাজ নাই।
(ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-১৫)
সুরা বাকারার ২৯নংআয়াতে বলা হয়েছে, অহুঅ বিকুল্লি শায়্যিন আলীম। অর্থাৎ -‘আল্লাহ সব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।’ আল্লাহ তায়ালার কোন কিছু আন্দাজ করার প্রয়োজনই হয়না।
এটা আল্লাহর সাথে বড়ধরণের বেয়াদবী।
(৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
(আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী পৃষ্ঠা-৩৫)
খলিফা নিযুক্ত হওয়ার পর হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার প্রথম ভাষণে বলেন, ‘আমি আপনাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ নই। আপনাদের সকলের সাহায্য ও পরামর্শ আমার কাম্য। আমি ন্যায় ও সত্যের পথে থাকলে আপনারা আমাকে সমর্থন করবেন। বিপথগামী হলে আমাকে উপদেশ দেবেন। আমি বরণ করব সত্য, বর্জন করব মিথ্যা। আমার চোখে ধনী-নির্ধন, সবল-দুর্বল সকলেই সমান। আপনারা আমাকে ততক্ষণ মেনে চলবেন, যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তার রাসুলকে মেনে চলব। অন্যথায় আপনাদের নেতা হওয়ার আমার কোনো অধিকারই নেই।’
আল্লাহর নবীর উম্মতদের মধ্যে হযরত আবুবকর রাঃ এর থেকে বেশি বুজুর্গ আর কে হতে পারে?
(৭) পীর কাফন চোরকে হাত ধরিয়া পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা: ২৭-২৮)
(৮)পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা থাকিবে না। (আশেক মাশুক পৃষ্ঠা-৮১)
(৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদেরগুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন।
(ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-৩৪)
(১০) যার দুই পীর আছে তাকে দুই পীরে দুই ডানা ধরে জান্নাতে নিবে।
(মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া পৃষ্ঠা-৫৫-৫৬)
(১১) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-২৫-২৬ ও আশেক মাশুক পৃষ্ঠা-৬৬-৮১)
৭-১১নং আপত্তির ব্যাপারে নিম্মে বর্ণিত উত্তরই যথেষ্ট বলে মনে করি।
কেয়ামতের বিভীষিকাময় ময়দানে কেউ কারো হবে না। সেই সঙ্গীন মুহূর্তে সবাই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ করতে থাকবে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা, নিজের স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে, সে নিজেকে ছাড়া আর কারো প্রতি লক্ষ করার মতো অবস্থা থাকবে না।’ (সুরা : আবাসা, আয়াত : ৩৪-৩৭)
হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি হাশরের মাঠে ভয়ে বলতে থাকবে—আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান। একমাত্র মুহাম্মদ (সা.) উম্মত নিয়ে চিন্তা করবেন।
(১২) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি ।(ভেদে মারেফত-পৃষ্ঠা-১৫)
আল্লাহর দুটি গুণবাচক নাম ‘মুহয়ি’ (জীবন দানকারী) ও ‘মুতিত’ (মৃত্যু দানকারী)। কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা আল্লাহর এই গুণ প্রমাণিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করো? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদের জীবন্ত করেছেন। আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও পুনরায় জীবন্ত করবেন।
পরিণামে তাঁর দিকেই তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন। অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। এরপর (আবারও) তোমাদের জীবন্ত করবেন।
’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৬৬)
যেহেতু মহান আল্লাহই জীবন ও মৃত্যুর স্রষ্টা ও মালিক, তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে উত্তম জীবন ও মর্যাদাকর মৃত্যু কামনা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ দুঃখ-কষ্টে পতিত হওয়ার কারণে যেন মৃত্যু কামনা না করে। যদি কিছু করতেই চায়, তা হলে সে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখো যত দিন আমার জন্য বেঁচে থাকা কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দাও, যখন আমার জন্য মরে যাওয়া কল্যাণকর হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৭১)
আল্লামা জাজ্জাজ (রহ.) বলেন, “আল্লাহই একমাত্র জীবনদাতা।
কেননা তিনিই তাদের ভেতর জীবন সৃষ্টি করেছেন, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ ও শুষ্ক ভূমিতে উদ্ভিদ উৎপন্ন করে তা প্রাণের বিকাশ ঘটিয়েছেন। এ জন্যই তিনি বলেছেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।” (সুরা : মুলক, আয়াত : ২; তাফসিরু আসমায়িল হুসনা, পৃষ্ঠা ৫৬)
আল্লামা খাত্তাবি বলেন, ‘আল্লাহ জীবনদাতা। কেননা তিনি জীবনহীন শুক্রাণুতে জীবন সঞ্চার করেন এবং তাতে তরতাজা প্রাণের বিকাশ ঘটান। আবার কিয়ামতের দিন অস্তিত্বহীন হয়ে যাওয়া দেহগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে দেবেন।
তিনি মৃত অন্তরকে জীবিত করে তাঁর মারেফাতের নূর দ্বারা। তিনি মৃত ভূমিতে বৃষ্টিপাত করে তা থেকে শস্য উৎপাদন করে তা জীবিত করেন। তিনি মৃত্যু দানকারী। কেননা তিনি জীবের প্রাণ কেড়ে নেন এবং শক্তিশালী ও অহংকারীকে মৃত্যু দ্বারা লাঞ্ছিত করেন।’ (শানুদ দোয়া, পৃষ্ঠা ৭৯)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া
(১৩) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তান থেকে বাঁচাতে পারেন। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-৩১)
বিখ্যাত সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি রা:-বলেন, মহানবী সা: ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃত্যুপথযাত্রীদের ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তালকিন করো’ (মুসলিম : ৯১৬-৯১৭)।
মুরীদের অন্তিম শিয়রে পীর হাজির থাকলে কালিমার তালকিনটি তিনি করাতে পারেন। এটা স্বাভাবিক এবং বিশ্বাসযোগ্য। তবে যিনি এই কথা বলছেন, তিনি নিশ্চিত যপ, তার সকল মুরীদের মৃত্যু শিয়রে হাজির থাকতে পারবেন?
লেখকঃ
ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন
কামিল/এম.এ(তাফসীর)
ডি.এইচ.এম.এস(বি.এইচ.বি)ঢাকা।