রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার এ নির্বাচনে ২ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদকে ব্যপক ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে প্রধম বারের মত পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। ভোটের ব্যবধান প্রায় ১৯ হাজার। নির্বাচন শুরুর দিকে বিজয়ী প্রার্থী খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর নির্বাচনী মাঠে তেমন সারা ছিল না, চলছিল অপরিকল্পিত প্রচারনা প্রতিপক্ষরা ছিলেন সবর।

তফসীল ঘোষনা হলো ছিল নানা জল্পনা কল্পনা, প্রার্থী হলেন ২ জন একজন ২ বারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অপর জন ৫ বারের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে আশিক মাহমুদ মিতুল স্থানীয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বুড়োর পক্ষে ভোটে নামার আহবান জানান নেতা কর্মীদের সাথে সকলকে নিজের মত করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে অনুরোধ করলেন। শুরু হলো নির্বাচন প্রতিদিন ভোট বাড়তে শুরু করল, বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ পথ সভায় নেমে পড়লেন আশিক মাহমুদ মিতুল, নির্বাচনী মাঠে গেলেন সাধারণ ভোটারদের পাশে গিয়ে হাত মিলিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলেন, সাধারণ মানুষ আশিক মাহমুদ মিতুলের উপর আস্থা রাখতে শুরু করল, এলাকার সিনিয়র আওয়ামীলীগের নেতারা আশিক মাহমুদ মিতুলের সাথে বসলেন মিটিং করলেন ভোট বাড়াতে করণীয় বিষয়ে তাদের সাথে দির্ঘ সময় ধরে ক্ষনে ক্ষনে বসলেন।

এলাকায় কোথা কি সমস্য সে বিষয় নিয়ে কাজ শরু করলেন, একই সাথে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিলেন সহিংস কোন ঘটনা যেন না হয়, আমরা রক্তপাতহীন একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই মানুষের ভোটের অধিকার তাদের উপর ন্যাস্ত করে তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে চাই বললেন আশিক মাহমুদ মিতুল। এর পর থেকেই প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় ২ থেকে ৫ টা পর্যন্ত ছোট বড় মিটিং শুরু করলেন ভোটারদের কাছে গেলেন এলাকার সম্মানিত মুরব্বীদের পাশে গিয়ে বসতে শুরু করলেন সিনিয়ররা তাকে স্বাগত জানাতে শুরু করল অনেকেই বলতে লাগল পিতা জিল্লুল হাকিমের পথেই হাটতে শুরু করেছে মিতুল হাকিম একদিন সে আরো বড় হবে এ অঞ্চলের মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিনিত হবে এমন সব কথা এলাকার মুরব্বীরা বলতে শুরু করায় নিজের মধ্যে ইচ্ছা শক্তি কয়েক গুনে কাজ করতে শুরু করে সকলের সম্মিলিত চেষ্ঠায় বিজয় অর্জন হয়।

নির্বাচনী মাঠে নেমেই বুঝতে পারেন উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম বুড়ো পক্ষে জেতা অসম্ভব তার মধ্যে যশাই হাবাসপুর,বাহাদুরপুর, বাবুপাড়া এসকল ইউনিয়ন গুলোতে সাইফুল ইসলাম বুড়োর পক্ষে ভোট বাড়াতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এলাকার সুধি সমাজ, মুরব্বী, তরুণ যুবক সকলকে কাজে লাগাতে শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ইউনিয়ন হাবাসপুর সে খানে সব থেকে ভোটার বেশী এ ইউনিয়নে ভোটের ব্যবধান কমাতে না পারলে নির্বাচনে বিজয় হওয়া নিয়ে শংস্কা থাকায় আলাদা আলাদা ভাবে প্রচারনায় নামিয়ে দেওয়া হয় কর্মী সমর্থকদের। হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়, নিজ নিজ এলাকায় কাজের জন্য। দেওয়া হয় পরামর্শ সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজন সফল হলেন নির্বাচনি মাঠে, ব্যবধান কমে আসল ব্যপক ভোটের ব্যবধান না হলেও পরাজিত হতে হয়েছে হাবাসপুর ইউনিয়নে। এ ছাড়াও হারার শংস্কায় থাকা যশাই ইউনিয়নে বিজয় হয়েছে মটর সাইকেল, বাবুপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ভোট পেয়েছেন সন্তোষ জনক। এ নির্বাচনেও পাংশার যুব সমাজের সকলেই ভাল নির্বাচন করেছেন আশিক মাহমুদ মিতুলের কথায় তারা আশিক মাহমুদ মিতুলের জয় দেখতে চেয়ে নিজেদের মত করেছেন প্ররিশ্রম। এ নির্বাচনে যুবকদের পাশাপাশি এলাকার মুরব্বী ও সিনিয়র নেতারাও জোট বেধেছিল আশিক মাহমুদ মিতুলের কথায়।

এ নির্বাচন যেন একটি আর্দশের নির্বাচন, শক্তি প্রয়োগ নয় ভালবাসা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার ব্রত নিয়েই আশিক মাহমুদ মিতুল ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী মাঠে আসেন এবং বিজয় অর্জন শেষে মাঠ ছাড়েন। আশিক মাহমুদ মিতুল শুধু একটি নামই না তিনি পাংশা কালুখালী বালিয়াকান্দির মানুষের জন্য একটি বট বৃক্ষে পরিনিত হয়েছেন তাকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ভালবাসতে শুরু করেছেন। এ বিজয় উৎসর্গ করলেন পাংশা উপজেলার সফল সাধারণ সম্পাদক প্রায়ত ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতার জন্য যা শুনে নেতাকর্মীরা উল্লাসিত হয়েছেন প্রায়ত নেতার কথা স্বরণ করায় তার প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা কয়েক গুনে বেড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। বিগত নির্বাচন থেকে অনেক স্বচ্ছ ও পরিছন্ন রক্তপাত হীন একটি নির্বাচন যার মাধ্যমে পাংশার মানুষ তাদের সু চিন্তিত মতামতের মাধ্যমে নতুন করে আগামী ৫ বছরের জন্য নতুন জনপ্রতিনিধি খুজে নিয়েছেন। আশিক মাহমুদ মিতুল বলেন এ জয় আমাদের সকলের পরিশ্রমের সফল,একটি অপশত্তির বিরুদ্ধে মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যর জয়।