স্পেশাল রিপোর্টার: লাগাতার দূর্নীতি, সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপালকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তলব করেছে।
এই প্রতারকচক্রের মূলহোতা আনিসুর রহমান ও তার নিকাহের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসংখ্য তথ্য প্রমাণ বাংলাদেশ ভূমির হাতে এসে পৌছেছে। পর্যায়ক্রমে তা প্রকাশ করা হবে। আজকে তার তৃতীয় কিস্তি পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো।
গত ২১শে আগষ্ট সোমবারে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আনিছুর রহমান স্বশরীরে হাজির হন। এসময় পৃথক ভাবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ জাকির হোসাইন ও পরিদর্শক সাজিদুর রহমানের চেম্বারে তাকে তলব করে সত্যতা যাচাই করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আনিসুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করলেও অভিযোগকারী কয়েকজন সরাসরি উপস্থিত হলে নিজের অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য হন।
প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান স্বীকার করেন যে, তিনি মোঃ আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিয়াতি করে ইফতেখার রসুল নামের একজনের নামে বেতন ভাতা করিয়েছেন।
অভিযোগকারী আরিফুল ইসলাম জানান, তাকে চাকরি দেবার কথা বলেও হাতিয়ে নিয়েছেন নয় লক্ষ টাকা। সেই সাথে তার নিবন্ধন সনদটিতে ইফতেখার রসুল নামের এক ব্যক্তির নামে রূপান্তর করে ইসলামমের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এমপিও করিয়েছে। তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে নানান তালবাহানা করে। এক পর্যায়ে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে তিনি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিয়োগ করেন এবং তারা তার অভিযোগটি আমলে নেন।
পরিদর্শক সাজিদুর রহমান জানান, প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে অতি দ্রুতিই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম জানান, চন্দ্রপাড়া সুলতানিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান তাকে নিয়োগের প্রলোভন দিয়ে নয় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চার বছর অতিক্রম করলেও তাকে কোন প্রকার নিয়োগ দিতে পারেননি। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন। এই প্রতারণা চক্রের সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ বেগম ওরফে নিতুল বালার সক্রিয় অতৎপরতা রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন। আমরা বাংলাদেশ ভূমির মাধ্যমে এই চক্রের সকল দুর্নীতি এবং প্রতারণার চিত্র তুলে ধরবো। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বাংলাদেশ ভূমির অনলাইন সংস্করণে।