শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
মিঠাপুকুরে শাড়ী পেচিয়ে এক মহিলার আত্ম হত্যা পাংশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত মৃত্যুর আগে ওয়াশরুম থেকে কবি হেলাল হাফিজের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ অনন্তলোকের চিরন্তন সফরে কবি হেলাল হাফিজ পাংশায় পুলিশকে দেখে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালানো আসামী গ্রেফতার ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমীর হামযা আশা জাগিয়ে রাখি পাংশায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো ৪টি ঘর খোকসায় আ.লীগ নেতাদের ছাড়াতে বিএনপির হাইব্রীড নেতাদের তদবিরে জনমনে প্রশ্ন  খোকসায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক, ছাড়িয়ে নিতে কৃষকদল নেতার তদবীর রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত কবি রফিকুল্লাহ কালবী : সাক্ষাৎকার পাংশায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী, কেক কাটা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ বৈঠকে আমীরে জামায়াত ক্লাসে বিশ্বনবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে প্রয়োজন সুশিক্ষার মূল্যবোধ

এম এ বাসেত / ৬১৮ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩, ৮:৩০ অপরাহ্ন

যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে প্রয়োজন সুশিক্ষার মূল্যবোধ

                                                   —–এম এ বাসেত

আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে আল্লাহ তায়ালা ঐশ্বীগ্রন্থ’ আল কুরআনে সার্টিফাইট করেছেন। কিন্তু‘ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও সময়ে-অসময়ে সমাজের খুব নিকৃষ্ট কাজ করি। তখন আমাদের মাঝে কোন দ্বিধা বোধ থাকে না। কারণ আমাদের অন্তরে প্রকৃত খোদা ভীতি, ধর্মীয় সংস্কৃতির অনুশীলন নেই। মুসলিম সামাজ ব্যবস্থায় আমাদের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার আছে। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীগণ নিজের ধর্র্ম-কর্ম, সংস্কৃতি লালন-পালন ও সামাজিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। যার মাধ্যমে বান্দা তার জীবন যাপনের প্রকৃত আত্মিক শান্তি খোঁজে পান। ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতি হলো জীবন যাপনের সর্বোকৃষ্ট পন্থা। যার মাঝে নিহিত আছে ইহকালে সুখ ও পরকালে মুক্তি এবং শান্তি। আমরা দুনিয়া দারীর ভোগ বিলাসের মোহে পড়ে হালাল-হারাম ভেদাভেদ ভুলে গেছি। আমরা প্রায়ই ভাবি বিত্ত বৈভব এর মাঝে সকল সুখ-শান্তি নিহিত থাকার কথাই ভাবি। নিজেকে সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য কোন রকম ন্যায়-অন্যায় বাছ বিচার করি না। যে কারণে আমাদের সমাজে ব্যাপক দূর্নীতি ও অপসংস্কৃতি ঢুকে পড়েছে। যার ধারা বাহিকতা চলছে যুগের পর যুগ ধরে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি লালন পালন থেকে তরুণ সমাজ বহু দূরে সরে গেছি। আমরাও নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ লালন-পালনে তেমন আগ্রহী নয়। এখনো সময় আছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করে তরুণ সমাজকে ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করতে হবে।
আমরাই শিশু-কিশোরদের পরিবার থেকে মিথ্যা বলার শিক্ষা দেই। শিশু-কিশোরদের সম্মুখে নিজের বদ অভ্যাসগুলো প্রকাশ করি। যার মাধ্যমে শৈশব থেকে শিশু-কিশোররা তার অনুসরণ ও অনুকরণ করতে শিখে। অনেক সময় বাড়িতে কোন অপরিচিত লোক এসে কাউকে খোঁজে। পরিবারের ঐ সদস্য যদি বাড়িতে অবস্থান করেন; তখন ভাল-মন্দ না ভেবে বাড়ির ছোট ছেলে বা মেয়েটির দ্বারা আগন্তুক লোকটি জানান দেন ‘‘লোকটাকে গিয়ে বল আব্বু বাড়িতে নাই’’। তখন ছোট ছেলে বা মেয়েটি গিয়ে অনুরুপ ভাবে লোকটিকে বলেন ‘‘ আব্বু বাড়িতে নাই’’। এভাবেই ছেলে-মেয়ের দৈহিক বিকাশের সংগে মিথ্যা বলা অভ্যাসে পরিণত হয়। আমাদের শিশু-কিশোরদের এধরণের অন্যায়, মিথ্যা ও অনৈতিক কাজ-কর্ম থেকে দূরে রাখতে হবে। আমরা পারিবারিক ভাবে শিশু-কিশোরদের বাংলা, ইংরেজি, সংগীত চর্চা সহ অন্যান্য শিক্ষার ক্ষেত্রে যেরুপ প্রাধান্য দেই। অনুরুপভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেই না। শৈশবে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ’ আল কুরআন ও আল হাদীস শিক্ষা দেয়া, মক্তব-মসজিদ মুখী করানোর স্বচেষ্টা করি না। তাদের ধর্মীয় অনুভূতি লালন পালন ও সামাজিক পোষাক-আশাক পরিধান বিষয়ে শিক্ষা দেয় না। আমাদের চরম অবহেলার কারণে ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে তরুণ সমাজ নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অলস আড্ডা, অসৎ বন্ধুর সাঙ্গ পেয়ে নিজেকে বিপদগামী করছে। তারা ভাল-মন্দ না বুঝে মদ, ভাং, গাজা, ফ্যান্সিডিল, হিরোয়িন, প্যাথিডিন এর মত মাদক নেশায় আসক্ত হচ্ছে। পরবর্তীতে খুন রাহাজানি, চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং ইত্যাদি অসামাজিক কর্মকান্ড সম্পাদনের করে উদীয়মান তরুণ সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে! আমরা এখনো তরুণ সমাজের অবক্ষয় রোধে সচেতন হতে পারিনি। আমরা নিজস্ব ধর্ম, দেশীয় সংস্কৃতিক কৃষ্টি কালচারে জীবন যাপনের বিপরীতে ভীন দেশী সামাজিক সংস্কৃতি অনুশীলন ও অনুকরণে তাদের রীতিমত তদারকি করি। বর্তমানে আমাদের পারিবারিক কাজ কর্ম, চলা-ফিরা, জামা-কাপড়, পোষাক-পরিচ্ছদ, সাঁজগোছ, আমোদ-প্রমোদ সবকিছুর মাঝে অপসংস্কৃতির ছোঁয়া লেগেছে। যার বেড়া জালে দেশীয় সংস্কৃতি, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অবক্ষয় ধরে আমাদের ধর্মীয় ইমানী শক্তির। যে কারণে পৃথিবীর সর্বত্র মুসলমানরা ইহুদি-খ্রিষ্টানদের হিংস্র ধাবায় লাঞ্চিত, অপমানিত ও ধ্বংস হতে চলছে। তাদের মিথ্যা প্রলোভনে নিজেরাই নিজেদের মাঝে হিংসা, বিদ্বেষ, খুন-খারাপি সহ যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছি। ইহুদি-খ্রিষ্টানদের সংগে তাল-মিলিয়ে নিজ জাত কুল সব হারাচ্ছি। বাক্সগালি জাতীয়তাবাদ, ইসলামিক মূল্যবোধ দিনদিন ধ্বংসের দিকে ধাপিত হচ্ছে। তাদের অপসংস্কৃতির বেড়া জালে যুব সমাজের অবক্ষয় দেখে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় খোঁজে পাচ্ছি না। অপসংস্কৃতি মানবিক মূল্যবোধের মৃত্যু ঘটায়। বিবেকের দরজায় কড়া লাগায়। পাশ্চাত্যের অনুগামী হয়ে ডিসকো নাচ, গান ও অশ্লীল ছবি দর্শনে অভ্যস্ত তরুণ সমাজ। এসব নাচ গান আর পোশাক-আশাকের সাথে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির কোন মিল নেই। বর্তমানে আমাদের সমাজে যে অপসংস্কৃতি অনুপ্রবেশের মূল হলো অবাধ দুর্নীতি আর দূরবৃত্তপনা। ব্যাপক দূর্নীতি সমাজে আসন গড়ে বসায় সুষ্ঠু সংস্কৃতি সমাজে টিকে থাকতে পারছে না। তাই নিজস্ব সংস্কৃতিক অঙ্গন দখল করে নিয়েছে ভিনদেশী অপসংস্কৃতি। সত্য ও সুন্দর ত্যাগ করে তরুণ সমাজ টেলিভিশন, সিনেমা, ভিডিও-তে যে সব ছবি দেখানো হচ্ছে তার অধিকাংশ আমাদের মন-মানসিকতার সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এসব অশ্লীল ছবি আমাদের তরুণ-তুরণীদের কাছে অতিপ্রিয়। এই অপসংস্কৃতির স্রোতে তরুণ সমাজ আজ গা ভাসিয়ে দিয়েছে। অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজে প্রবেশ করেছে তা তরুণ-তরুণীদের আচার-আচারণ, পোষাক-আশাক দেখলেই বুঝা যায়। তারা দেশীয় আবাহওয়ায় বিদেশী জীবনবোধকে গ্রহণ করে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছে। বিদেশী সংস্কৃতি মাত্রই অপসংস্কৃতি নয়। বিদেশী কোন কিছু গ্রহণ করার আগে বিবেচনা করতে হবে তা আমাদের জীবন ধারনের উন্নয়নের সহায়ক ও চিন্তা ভাবনাকে আরো মহৎ উদার করবে কি না।
আপসোস! আমাদের তরুণ সমাজ আজ সেই সব অপসংস্কৃতির ধ্বংস লিলার মহামারিতে আক্রান্ত শিকার। যে কারণে তরুণ সমাজের দ্বারা নানারকম নীতিহীন কাজকর্ম সংঘটিত হচ্ছে। উপ-মহাদেশে ব্রিটিশরা প্রায় দুশ বছর শাসনকালে তাদের কৃষ্টি কালচার লালন পালনের বীজ আমাদের মাঝে বপন করেছেন। সেই সময় ইউরোপিয়ান সাহেবগণ দাঁড়ি কামানো, গোল টুপির পরিবর্তে সাহেবী টুপি পরিধান এবং সিগারেট খাওয়া ও মদ্যপ পানে রীতিমত বাধ্য করত। কিন্তু সচেতন মুসলিম স¤প্রদায় ব্রিটিশ লর্ডের হীন কর্মকান্ড প্রতিরোধে সোচ্চার ও সচেতন ছিল। বর্তমানে যুব সমাজের মাঝে ওই ধরণের কোন সংস্কৃতি লালন পালন দেখলেও তার কোন সোচ্চার প্রতিবাদ ও সম্মিলিত প্রতিরোধ করি না। আর প্রতিবাদের যথেষ্ট মন মানসিকতা থাকলেও একার পক্ষে তা করা সম্ভব হয় না।

শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা তার মায়ের কাছেপাই। সে মায়ের কাছে কথা ও ভাষা শিখে। সব ক্ষেত্রে মাতাকে অসুরণ করে। শৈশবের শিক্ষা পাথরে খোদাই করে চিত্রাঙ্কনের মত ¯স্থায়ী হয়ে থাকে। মায়ের দায়িত্ব সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া। নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনে ছোট ছোট আদর্শ কাহিনীর মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষা দেওয়া। অযু, গোসল, পাক, নাপাক শিক্ষা মেয়েরা সবকিছু মায়ের কাছেই শিক্ষা পাই। অনুরুপভাবে ছেলে সন্তান শিখে পিতার কাছে। এসময়ে মায়ের কথা বার্তা, চাল-চলন, আচার-আচরণ সর্বদা সতর্ক হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এজন্য নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট বলেছিলেন ‘‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও; আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দিব’’। তাই কন্যা সন্তানদের যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলতে হবে। ছেলেদের ন্যায় কন্যাকেও পড়া শোনার ব্যাপারে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। কারণ আমাদের সমাজে এখনো কন্যা সন্তানেরা বেশি অবহেলিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে। ধর্মীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ জাগ্রত করে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও ইভটিজিং সমাজ থেকে নির্মূল করতে হবে।
ইসলাম অত্যন্ত ভারসাম্য জীবন ব্যবস্থা। সন্তানদের পরিচর্চা ও লালন পালন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘‘পিতার ওপরই সন্তান ও মাতার ভরণ পোষণের দায়িত্ব বর্তায়’’ (সূরা বাকারা-২৩৩)। মহানবী (স.) সন্তানদের কল্যাণের জন্য বলেছেন ‘‘ তোমরা সন্তানদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখ’’। তিনি আরো বলেন ‘‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের স্নেহ কর এবং তাদের ভাল ব্যবহার শেখাও’’। কোন অবস্থাতেই তাদের অভিশাপ দেওয়া বা বদ দু’আ করা উচিত নয়। মহানবী (স.) বলেছেন, ‘‘তোমরা সন্তানদের বদ দু’আ করবে না’’ (মুসলিম)। পিতা-মাতার নির্বুদ্ধিতা ও অসতর্কতার জন্য অনেক সময় সন্তান বিলাসী হয়ে গড়ে ওঠে। এতে সন্তানের ভবিষ্যত অকল্যাণ হয়। পিতা-মাতার দায়িত্ব অবহেলার জন্য কোন সন্তান যদি পাপ কাজে লিপ্ত হয়, সেজন্যে পিতাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য ছেলে-মেয়েদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা পিতা-মাতার একান্ত কর্তব্য।
কবি বলেছেন ‘‘ ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’’। দেশের প্রায় ৩০ লক্ষ যুব সমাজ বেকার সমস্যার ভুগছে। যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক প্রতিহিংস্যা, খুন খারাপি, চুরি-রাহাজানি বাড়ছে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যেবোধের অভাবে যুব সমাজের অবক্ষয় যেন জাতীয় সমস্যা পরিণত হতে চলছে। আমরা সন্তানদের উ”চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার কথা ভাবি। তাদের পিছনে সময় ও অর্থ খরচ করি। কিš‘ তাতেও সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলতে পারছি না। আমরা জানি মানুষ নিজেই তার ভাগ্য উন্নয়নে নির্মাতা। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ‘‘যে নিজেকে সাহায্য করে; তিনি তাকে সাহায্য করেন’’। ধর্মীয় গোড়ামির মধ্যে নিজেকে অবরুব্ধ করে আধুনিকতার ধরা ছোঁয়া থেকে দূরে থাকা যাবে না এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে ঘরে বসে থাকলে নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে না। তবে ভাগ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে সামাজিক, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতা থাকতে হবে।
এখনো সময় আছে ভীন দেশী সংস্কৃতি লালন পালন থেকে আমাদের সন্তান তথা শিশু-কিশোর, যুবদের রক্ষা করতে হবে। হত্যা, হিংসা, লুন্ঠন, অপহরণ যেসব ছবিতে বিজয়ীর বেশে আসে সেগুলোর আমদানী বন্ধ সহ সমাজকে দূর্নীতিমুক্ত করতে হবে। কোন ক্রমেই অপ্রাপ্ত বয়সে তুরণ-তরুণীদের হাতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়ামুঠোফোন সমীচীন নয়। নিজস্ব ধর্মীয় মূল্যেবোধ, বাঙ্গালি সংস্কৃতি লালন পালন করার জন্য তরুণ-তরুণীদের উৎসাহিত করতে হবে। এরজন্য ছোট কাল থেকে শিশু-কিশোরদের ইসলামি শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সকল শিক্ষার আগে ছেলে-মেয়েদের ইসলামিক ধর্মীয় মূলোবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার কথা ভাবতে হবে। এরপর অন্যান্য শিক্ষায় সুশিক্ষিত করাতে হবে। তাহলে আধুনিকায়নের যুগে শিশু-কিশোর ও যুবরা কিছুটা নীতি-নৈতিকতা মানবে। তাদের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভীতি জাগ্রত হলে অসামাজিক কার্যকলাপ থেকেও তারা দূরে থাকবে। পারিবারিক ভাবে তাদের শিক্ষা দিতে হবে সদা-সর্বদা সত্য কথা বলার এবং সত্যবাদী হওয়ার। তাহলে শৈশব থেকে শিশু-কিশোরদের মাঝে ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে। তারাই একদিন সমাজের অনিয়ম-দূর্নীতি মূলক কর্মকান্ডগুলোকে পরিহার করবে। তাদের দ্বারা সামাজিক পট পরিবর্তন হবে। তবে ভবিষ্যতে একটি সুশিক্ষিত যুব সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। যাদের নেতৃত্বে এদেশ ও জাতি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।
                                                                 লেখক- কবি ও সাংবাদিক,তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর