কবি খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইনের জন্মবার্ষিকী আজ
শেলী : সমসাময়িক বিষয়কে ছড়া কবিতায় তুলে ধরার নেশায় আবিষ্ট কবি খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইনের আজ ৩৫তম জন্ম বার্ষিকী।সনদপত্র অনুযায়ী তার নাম মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন। পেশায় একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। বসবাস করেন সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায়। বাংলা সাহিত্যে খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন নামেই অধিক পরিচিত। ১লা আগস্ট ১৯৮৮ সালে জন্মেছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মানিকাট গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে। পিতা মোঃ আবু হুসাইন এবং মাতা জাহানারা খাতুন।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার কবিতা ছাপা হচ্ছে বেশ গুরুত্বের সাথে। দুই হাজার সালের গোড়ার দিকে প্রথম লেখা-লেখির হাতেখড়ি হয় স্মৃতিহয়ে থাক সাহিত্য পত্রিকার মাধ্যমে। আজ অবধি লিখেই চলছেন নিরলসভাবে। ২০০৪ সাল থেকে অনিয়মিত ভাবে সম্পাদনা করেছেন আল-মুবারক সাহিত্য পত্রিকা, ২০২১ সালে সম্পাদনা করেছেন ‘দ্বীপ্তিমান দ্বিজেন্দ্রনাথ’ নামীয় একটি স্বারকগ্রন্থ। শরৎচন্দ্র সরকারের মৃত্যুর পর স্মৃতি হয়ে থাক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন এবং তার সম্পাদনায় অনলাইন পত্রিকা ‘বাংলাদেশ ভূমি’ ঢাকার সাভার থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।
এই কবির অপ্রকাশিত গ্রন্থ গুলির মধ্যে ‘প্রণয় জ্বালা’ ‘এই দেশ আমাদের নাই আর নাই, ‘বলিসনা ফের দলীয়’ ‘আবোল তাবোল হচ্ছে আমার মন, ‘এসেছিলাম অন্ধযুগে’, ‘পথের ধুলো’ ‘বিষে কাতরায় দেশ, ‘খাঁটি বাংলার ছড়া, ‘মুখোশপরা হিরো’, ‘ লকডাউননামা’ ‘ইয়ারবকশি’, ‘শ্মশাণ ঘাটের ভূত (গল্প), বিশেষ অভিযান (গল্প)’, ‘বিবেক আমায় দংশে বারেবারে (নিবন্ধ)’ উল্লেখযোগ্য।
‘বাংলাদেশের ইসলামি ছড়া’, ‘সবুজ সংলাপ, ‘চেতনায় একাত্তর, ‘প্রজন্মের কবিতা’ নামীয় যৌথ গ্রন্থ’ গুলিতেও তার ছড়া- কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।
কবি শিক্ষাগত জীবনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজবাড়ীর হোগলাডাঙ্গী মোহাম্মাদীয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে তাফসির বিভাগে কামিল-এম.এ এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এর অধীনে কুষ্টিয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে ডি.এইচ.এম.এস ডিগ্রী লাভ করেন। স্ত্রীর নাম শেলী খাতুন এবং একমাত্র পুত্র জিয়াদ আল সাবিত।