পাংশায় প্রবাসী শফিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
বার্তা বিভাগ: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ী গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী শফিকুল ইসলাম মন্ডলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। একই সাথে সামাজিক ভাবে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপপ্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে দাবী করেছেন শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার। ইতোমধ্যে রাজবাড়ীর আদালতে শফিকুল ইসলাম মন্ডল ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের জড়িয়ে পৃথক ২টি মামলা হয়েছে। মামলার অভিযোগে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা বলেও দাবী করেছেন তারা।
প্রায় ৫ বছর আগে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করেছিল। তাদের সংসারে রয়েছে ৮ মাসের একটি মেয়ে।দীর্ঘদিন শফিক সিঙ্গাপুরে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে দেশে আসছেন ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদে। ১লা ফ্রেরুয়ারী শফিকুল ইসলামের বড় ভাই ফরিদ মন্ডল মারা যাওয়ায় দেশে ফেরেন তিনি। এরই মধ্যে তার স্ত্রী তামান্না সন্দেহ করে বসেন তার সদ্য বিধবা হওয়া ভাবীর সাথে তার অনৈতিক সর্ম্পক রয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
এদিকে শফিকুল ইসলাম মন্ডল বাংলাদেশ ভূমিকে জানান, তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করে চলছেন যে আমার ভাবীর সাথে আমার বিয়ে বা অন্য রকম সর্ম্পক রয়েছে এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট যার কোন ভিত্তি নেই। আমি আমার বিরুদ্ধে হওয়া সংবাদ সমূহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান, আমার টাকা ফেরত দেওয়ার ভয়ে আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন এসব বানোয়াটি তথ্য ছড়িয়ে চলছে।
সদ্য বিধবা হওয়া আমার ভাবীকে জড়িয়ে অপবাদ ছড়ানোয় সে মানসিক ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। এসকল অপবাদ মূলত আমার স্ত্রী তামান্না ছড়ায়। ফলে আমার পরিবারে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়।আমার মামা শ্বশুরের বিয়ের দাওয়াত খেতে তামান্নাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম।সেখান থেকে সে আমার সাথে আমাদের বাড়িতে ফিরে না এসে অবাধ্য হয়ে সে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।কিন্তু কয়েকদিন পরে গভীর রাতে মেয়েকে না নিয়েই ফিরে এসে ঘরের দরজা ধাক্কাতে থাকে। তার সোর চিৎকারে বাড়ির অন্য সকল লোকজন জাগ্রত হয়। আমার মা তাকে ওই মুহুর্তে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে নিষেধ করে কিন্তু সে সেই নিষেধ অমান্য করে আবারো চলে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ রটাতে থাকে এবং সদ্য বিধবা হওয়া ভাবি ও তার নাবালক সন্তানদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসারত ছিলো। আমরা বাবার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ আমার শ্বশুর পুলিশ নিয়ে হাজির হয় আমাকে শায়েস্তা করার জন্য।
এক পর্যায়ে নানাবিধ অশান্তি সৃষ্টি করার কারণে আমি আমার স্ত্রী তামান্নাকে তালাক দিতে দিতে বাধ্য হই। তালাক দেওয়া যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে আমি এতটুকুই অপরাধী। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে তারা একাধীক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করে চলছে।
আমি কোন শারিরীক নির্যাতন করিনি। চিকিৎসা রিপোর্ট দেখলে তার প্রমাণ মিলবে। সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো আমাকে ফাঁসানোর জন্য। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় পরের দিনই রিলিজ না নিয়ে বাড়িতে চলে আসে।
আমি প্রবাসে থাকা অবস্থায় অনেক টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু সে সকল টাকার হিসাব চেয়েও পাইনি। অথচ তারাই উল্টো আমার নামে যেতৈুক দাবীর মামলা করেছে। আমি বিয়ের সময় কাবিনের সমূদয় টাকা পরিশোধ করে দিয়েছিলাম।
এছাড়া শফিকুল ইসলাম আরো জানান, বিয়ের সময় আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে কোনপ্রকার উপঢৌকন নেওয়া হয়নি বরং আমি প্রবাসে থেকে উপার্জন করে এসে স্ত্রীকে কয়েক পদের গহনা দিয়েছিলাম।সেই টাকা আমার শ্বশুর কয়েকটি গরু কিনেছে কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। সে সকল গহনাও সে নিয়ে গেছে।
তালাকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বিয়ে করেছি সংসার করার জন্য কিন্তু সে (তামান্না) আমার শোকসন্তপ্ত পরিবারে নানাবিধ অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। একটা পর্যায়ে তাকে তালাক দিতে বাধ্য হই।