ইসলাম ঐতিহাসিকভাবেই স্বীকৃত প্রশান্তির নাম।এর জন্য ইসলাম শব্দের ব্যবচ্ছেদ নি:প্রয়োজন।বাতিল ধর্মের আঁতেল গোষ্ঠী অত্যন্ত প্ররশ্রিকাতর ও হিংসুক। তাই নতুন ধর্ম বা শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা উদার চিত্তে গ্ৰহণ না করে ইবলিস শয়তানের মতো বিরোধিতা শুরু করে। কিন্তু পৃথিবীর শান্তির জন্য একটি আসমানি আদেশ অপরিহার্য।
একটি বৈজ্ঞানিক জীবন ব্যবস্থা(ধর্ম)এই অসুস্থ অবনির খুব বেশি প্রয়োজন। ধর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে মহাকবি আল্লামা ইকবাল বলেন, ” ধর্ম কি জানো? মৃত্তিকা থেকে উত্থান যেন এ আত্মা খুঁজে পায় তার সত্ত্বার সন্ধান।” মহান আল্লাহ তায়ালা কেবল মানুষ ও মানবতার জন্য এই পাপেপূর্ণ জগতকে সিরাতুল মুস্তাকিম দেখাতে চেয়েছেন।আর এই জন্যই যুগে যুগে আসমানী কিতাবের সাথে নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন।
একটি আসমানি কিতাব যখনই বিকৃত হয়েছে তখনই সমাজের নষ্ট লোকেরা মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন বৃদ্ধি করেছে। নির্যাতিত নারী পুরুষ শিশুর নির্মম হাহাকারে এই গ্রহ বারবার কম্পিত হয়েছে। অবশেষে মহান আল্লাহ এই বসুন্ধরার মানুষের জন্য ইসলামকে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে প্রেরণ করেন এবং মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেন। বাতিল ধর্ম কথাটি বুঝলে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম সত্য নয়।ইসলামকে একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করলে পৃথিবীতে এত অশান্তি হতো না কখনো।
মহান আল্লাহতালা সমগ্র মানবজাতির জন্যই ইসলামকে ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। অথচ পৃথিবীর মানুষ বেছে নিল যার যার বাতিল ধর্ম, বিভিন্ন মতবাদ হাজারো মানব রচিত মতাদর্শ ।আর নাস্তিকের বিতর্কিত পথ। সেই কবে থেকে শুরু হয়েছে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা। প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানে তেমন সাধনা ও অর্থ ব্যয় নেই। আজ অমুসলিমদের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামকে টার্গেট করে সদর্ভে এগিয়ে যাচ্ছে।
মুসলমানদের জ্ঞান গবেষণার দুর্বলতার সুযোগে মুসলিম বিরোধী গোষ্ঠী খুবই সুবিধাজনক অবস্থান থেকে ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত আছে। আর অসহায় মুসলমানরা ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মত শুধু মার খাচ্ছে আর লাফালাফি করছে। সেই কবে থেকে মুসলমানদের কপালে সন্ত্রাসী, জঙ্গি আর আল কায়দা, লাদেন বাহিনী, তালেবান বাহিনী, রাজাকার ইত্যাদি তকমা একে দিয়ে তাদের প্রগতির পথকে বিঘ্নিত করছে। পৃথিবীর ৯৯ ভাগ অর্থ সম্পত্তি যাদের হাতে তারাই বিশ্ব মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান ইসলামকে বিতর্কিত করেছে।
তাদের গভীরতর ষড়যন্ত্র এখন খোদ মুসলমানরাই বেখবর। এই সুযোগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে পবিত্র কোরআন ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে বারবার অপমান করা হচ্ছে। তাদের তাদের পোষ্য মিডিয়া ও বিশ্ব দালালরা একটি কথাই প্রমাণ করতে চাই ইসলাম এক ভয়ংকর ধর্মের নাম।মুসলমান এক জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম। পবিত্র কুরআনকে ও প্রশান্তি সন্ত্রাসীদের একটি গাইড বুক বুঝে মনে করে আর হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে এইসব অপকর্মের নেতা হিসাবে প্রচার করতে ব্যস্ত। তারা সব জানে । তারা জানে ইসলাম সত্য। তারা বোঝে কোরআন এক নির্ভুল জীবন ব্যবস্থার গাইড। তারা এও জানে মুসলমানরাই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্তান ।এই পৃথিবীতে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ মানুষ গড়েছেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ। কিন্তু কথায় বলে,” বিচার মানি তালগাছটা আমার ।
“পাশ্চাত্যের একজন রাজনীতিবিদ সহজেই স্বীকার করেছেন, “কোনো ভুল ইসলাম নয়, আসল ইসলামই আমাদের টার্গেট।” সেই নোংরা টার্গেট থেকে ইসলাম ও মুসলিমের আশু নাজাত আছে বলে মনে হচ্ছে না। সেই টার্গেটের অনিবার্য ফল এই ইসলাম ফোবিয়া বা ইসলামভীতি। তারা যদি একবার নির্মোহ অন্তরে ইসলামের ইতিহাস, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী আর পবিত্র কোরআনকে অধ্যয়ন করত তাহলে সবাই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে উপস্থিত হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করত। তাই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, “ইসলাম সে তো পরশমণি তারে কে চিনেছে কবে।” পরিশেষে বলতে চাই ইসলামকে বিতর্কিত করে নয় তাকে বিশেষভাবে অধ্যয়ন করুন। ইসলাম আর তখন আপনার কাছে ফবিয়া মনে হবে না ইসলাম আপনার কাছে নিরাপদ এক আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে পাবেন।
মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে সবচেয়ে কম হত্যাকান্ডে জড়িত মুসলমানরা । এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত সত্য ।এখন যারা মুসলমানদেরকে খুনি হত্যাকারী প্রমাণ করতে চাচ্ছেন ভিতরে ভিতরে তারাই এইসব অপকর্মের, নীল নকশাঁর নেপথ্য নায়ক।
বর্তমান বিশ্বের মুসলমানদের একটাই দোষ তারা চরমভাবে জ্ঞান শূন্য এবং হেকমতহারা। আশা করি ব্যর্থতা ও পরাজয়ের এই ময়দান অতি তাড়াতাড়ি নতুন সম্ভাবনায় ভরে যাবে। ইনশাআল্লাহ।