কিছু প্রাসঙ্গিক কথা।
(মুহাম্মাদ ছেরুল আমীন।জন্মেছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামে। তিনি একজন গ্রামের সহজ সরল বয়স্ক কৃষক। সম্প্রতি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে গভীর শোকে আচ্ছন্ন হয়েছেন। ক্ষেতে খামারে যেখানে যেভাবেই কাজ করেন। তার মুখে স্ত্রীর কথাই বেশি আলোচিত হয়। কারণ, তিনি গভীর শোকাহত। কৃষি কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি মুখে মুখে কবিতা বেঁধেছেন তার স্ত্রীকে নিয়ে।তার সহকর্মীরা মাঝে মাঝেই অনুরোধ করেন এই কবিতা শোনার জন্য। তিনি প্রাণ খুলে অতি আবেগ জড়িতকণ্ঠে আবৃত্তি করেন। আমারও শোনার সৌভাগ্য হয়েছে। একদিন সময় ও সুযোগ হলে আবৃত্তির ভিডিওধারণ করে বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এর পাঠকদের দেখার ও শোনার সুযোগ করে দেবো।আর হ্যাঁ, যেহেতু কবি সাহেব গ্রামের অতি সাধারণ মানুষ আর পল্লী কবির কবর কবিতাসহ বিভিন্ন কবিতা ফরিদপুর কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীসহ আশপাশের জেলাগুলো ব্যাপক আবৃত্তি হয়েছে। ফলে, এই কবিতাতে কিছুটা পল্লী কবির কবর কবিতার ভাব-ভাষা অনুকরণ হয়েছে।যদিও অন্তমিলে কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে। আশা করি পুরো কবিতা পড়ে আপনাদের ভালোই লাগবে।)
ছেরুল আমীনের বিয়োগ ব্যাথার কবিতা
কি জানি কি হয়ে যে সে আমায় ছেড়ে গেছে
আমি যে হেথায় বিয়োগ ব্যাথায় কেঁদে মরি আঁখি জলে।
সকলের মনে ব্যাথা দিয়ে তুমি কোথায় চলে গেলে
কারো সনে কওনি কথা শেষ বিদায়ের কালে।
দু’হাত দিয়ে ধরে- যবে কবরে রাখলাম তারে
সারা দুনিয়ার যতো ব্যাথা ছিলো আমায় রাখলো ঘিরে।
হৃদয়ভরা ব্যথা নিয়ে ঘুরি হাটে বাটে
কওনি কভূ চলে যাবে তুমি আমায় একা ফেলে।
নেওনিতো কিছু গিয়েছো একা গিয়েছো শূন্য হাতে
তবু মনে হয় গিয়েছো আমায় তুমি শূন্য করে ।
মান অভিমান চলে অবিরাম_ চলতো দিবা রাতি
কোন অভিমানে চলে গেলে তুমি আমায় দিয়ে ফাঁকি।
সুখের দুঃখের- লুকোচুরি- চলতো অবিরত
তারি মাঝে হায় সুখের প্রদ্বীপ জ্বলতো শতশত।
নিঃসঙ্গ এই তুচ্ছ জীবনে কতই স্মৃতি জাগে
যে দিকে তাকাই শুধুই যেনো দুঃখের বাঁশি বাজে।
ঘরের ভেতরের আলনা শো’কেচ- তোমায় যেনো ডাকে।
পুত্রহারা মায়ের মত সবাই মিলে কাঁদে
গৃহে তোমার পোষা প্রাণী গুলো কি যেনো কি ভাবে
এদিক সেদিক চেয়ে চেয়ে চোখের জলে ভাসে।
আমাদের ছোট মেয়েটা জানো- থমকে গেছে, দূড়ন্ত এক ঝড়ে
মাতৃহীনার কলঙ্ক আজ লেগে গেলো তার কপালে।
সকাল সন্ধ্যায়, রাত্র-দিনে_ উদাস মনে থাকে
অমানিশার কালো আঁধার চোখে মুখে ভাসে।
অন্তরে তার কত ব্যাথা শুধুই মালিক জানে
দুঃখের বোঝা বইতে হবে সারা জীবন ভরে।
তুমি খালিক তুমি মালিক তুমি রহমান
দয়া করে মা- মনিরে করো রহম দান।
সেই আলো, সেই আঁধার- বহমান সেই বাতাস
কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আমার মনের আকাশ।
আর কতদিন সইবো বলো বিচ্ছেদের জ্বালা
আবার কবে হবে গো আমার যাবার পালা।
সে দিন আমার আসবে কবে কবর মাঝে শুইতে
পরিধানের কাপড় খুলে ফেলে কাফনের কাপড় জড়াবে।
কাফন শেষে নিয়ে যাবে মোরে কঠিন মাটির ঘরে
কেউ হবেনা চির সাথি ফিরবে সবাই নিজ ঘরে।
আসসালামুয়ালাইকুম ছেরুলামিন ভাই আপনার দুঃখে আমি ব্যথিত। আপনি আপনার সহধর্মিনী কে অতুলনীয় ভালবাসতেন। তা আপনার কবিতার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। আপনাদের ভালোবাসা অমর হোক।