বর্তমান সময়ে সমাজে পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা পুরুষহীনতা বা নপুংসকতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অনেক সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ বিতৃষ্ণা হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। পরিণত বয়সে নারী-পুরুষ উভয়েই শারীরিক সমস্যার কারণে দাম্পত্য জীবনে মানসিক দিক হতে চরমভাবে অশান্তিতে ভোগেন। আবার যারা অবিবাহিত বা যৌনকাজে অংশগ্রহন করেননি এমন অনেকেও চিকিৎসকের কাছে আসছেন। তাদের হতাশার কথা বলছে। বর্তমানে অভিভাবকরাও এ ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়ছে। তবে আশার কথা এই রুগীদের বড় একটি অংশই আসছেন আসলে তাদের বড় কোন সমস্যাই নেই, যৌন জ্ঞানের অভাবেই তারা ভীত হয়ে ডাক্তারের কাছে আসছেন।
নপুংসকতা বা ধ্বভঙ্গকে ইংরেজীতে বলে ইরেকটাইল ডিসফাংশন। তবে এ সমস্যা পুরুষের মাঝে পঞ্চাশের পরই বেশী দেখা যায়। আবার বিভিন্ন করণে ব্যতিক্রমও ঘটতে পারে। আমাদের সমাজে এ ব্যাপারে সংকোচ থাকার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে আমরা বঞ্চিত। অপরপাশে সমাজের কুসংস্কার বা অপসংস্কারের কারণে ও জটিলতা প্রকট হচ্ছে। যৌন দূর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়ই কমবেশীল আক্রান্ত হন। তবে যৌন কাজে নারীর ভূমিকা গৌন আর পুরুষের ভূমিকা মূখ্য বলেই পুরুষ উদ্বিগ্নতা, হতাশ ও দুশ্চিন্তা বেশী দেখা যায়।
প্রকারঃ
পুরুষত্বহীনতা বা ইরেকটাইল ডিসফাংশন শারীরিক দূর্বলতাকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
ইরেকশন ফেলিওর: এতে পুরুষাঙ্গ উত্থানে ব্যর্থ হয়।
প্রি ম্যাচুর ইজাকুলেশন: যৌন মেলামেশায় স্থায়ীত্ব কম, ফলে অতি দ্রুত বীর্যপাত হয়।
পোনিট্রেশন ফেলিওর: এতে পুরুষাঙ্গ যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থ হয়।
পুরুষের যৌনবিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজঃ
পুরুষাঙ্গ উত্থান বা ইরেকশন হওয়া, যা লিংগে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে।
পুরুষাঙ্গ দিয়ে সিমেন বা ধাতু বের হয়ে থাকে।
যৌন ইচ্ছা থাকে।
পুরুষত্বহীনতার কারণ ঃ এর কারণগুলো এভাবে সনাক্ত করা যায়-
যৌন সংগীকে অপছন্দ করা।
বয়সের পার্থক্য থাকা
ধুমপান, মদপান, মরফিন, প্যাথেড্রিন, হিরোইন ইত্যাদি গ্রহনে পুরুষঙ্গে উত্থানে ব্যর্থ হয়।
থাইরয়েড, মেরুদন্ড, কিডনী, লিভার ইত্যাদি রোগীদের প্রোলাকটিন হরমোনের আধিক্যে পুরুষত্বহীনতা করতে পারে।
প্রষ্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণেও পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়।
যৌনবাহিত রোগ, সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি কারণে পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়।
রক্তে যৌন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
যৌনরোগ এইডস ভীতি।
নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌন আসন।
রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাদ্যগ্রহনের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের ফলে কমে যাচ্ছে শুক্রানু উৎপাদন ক্ষমতা, ফলে দেখা দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতা।
কিছু হরমোনের অভাব, মস্তিস্কের কারনে পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়।
পুরুষাঙ্গের ধমনি সরু হয়ে যাওয়া অথবা শিরার রক্ত ধারণ ক্ষমতা লোপ পাওয়া।
বয়স বাড়ার কারণে ও শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের প্রভাবে পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়।
হতাশা, রাগ, উত্তেজনা ইত্যাদি কারণে পুরুষাঙ্গ উত্থানে ব্যর্থ হয়।
পুরুষাঙ্গের কাছে রেডিওথেরাপি দিলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা কারণ গুলোর সম্পর্কে না জেনে বিভিন্ন অপচিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে, কেউ কেউ হরমোন ইনজেকশন আবার কেউ কেউ অপ্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন করছে। ফলশ্রুতিতে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাবে স্থায়ী পুরুষত্বহীনতায় পতিত হচ্ছে।
চিকিৎসা ঃ
পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি পেতে হলে যৌন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং শৃংখলিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। যথা-
কাউন্সেলিং
কারণ বের করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহন।
অন্য কোন কারণ যেমন টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি অথবা অন্য ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তার সমাধান।
ধুমপান, মদপান, হিরোইন, মরফিন, প্যাথেড্রিন, ড্রাগের অপব্যবহার ইত্যাদি সব ধরনের নেশা পরিত্যাগ করা।
যৌনরোগ আক্রান্ত সংগীর সাথে যৌন সহবাস না করা।
সবসময় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক ভাবে শান্ত থাকা।
তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করেও কোন কোন ক্ষেত্রে স্থায়ী ভাবে সুস্থ্যতা গ্রহন করা সম্ভব।
খাদ্যাভ্যাসঃ
পুরুষত্বহীনতা কমাতে চিকিৎসার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভাসও পারে এ রোগ হতে মুক্তি দিতে।
দৈনিক কাঠবাদামসহ যে কোন বাদাম খেলে শুক্রানুর স্বল্পতা রোধ করা সম্ভব।
গাঢ় লাল রংয়ের টমেটো পুরুষের দেহে পুরুষত্বহীনতা রোধ করে।
প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজী খেলেও পুরুষত্বহীনতা হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
যৌন ক্ষমতার জন্য রসুন খুবই কার্যকর।
লাল আটার রুটির সাথে রসুন খেলে শুক্রানু বৃদ্ধি পায় ফলে যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পেয়াজ অত্যন্ত কার্যকরী।
গাজর যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উত্তম
কলা ভিটামিন বি ও ব্রমেলেইন নামক এনজাইমের চমৎকার উৎস, যা দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুক্রানু উৎপাদন করে পুরুষত্বহীনতা দূর করে।
প্রতিদিন আপেল খেলেও দৈহিক শক্তির বৃদ্ধির সাথে যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ডাকযোগে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন পেতে কল করুন
ডাঃমোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন( ডি.এইচ.এম.এস, এম.এ)
মোবাইল 01750495820