১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় পাকিস্তান রেডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গাদ্দার বলায় এক সিপাহী তাৎক্ষণিক বিদ্রোহ করেন। এরপর থেকে বাঙালি সৈন্যদের ব্যারাকে নানা হয়রানি। পাকিস্তানে বাঙালি সৈন্য এবং পাঞ্জাবিদের মধ্যে বিরোধ বাড়তে থাকে। পাকিস্তানে ক্যাম্পে সিনিয়র সেনাদেরটার্গেটে পরিনত হন খোকসার আবুল কাশেম
আবুল কাশেমের লেখা ‘এক সিপাহীর না বলা কথা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির ভাষা শহীদ উন্মুক্ত মঞ্চে।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন এটিএন নিউজের সিইই মুন্নী সাহা।
খোকসার বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিবর মন্ডলের ছেলে এই আবুল কাশেম। এসএসসি পাস করার পর ১৯৭০ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পদায়ন হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। শুরু থেকেই এর কয়েক মাস পর শুরু হয় বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধে্য আরো উপস্থিত ছিলেন- ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান খোকন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দীন সম্রাট, ব্যাংকার ইমরান হোসেন, মোহনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম মনি, কবি খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, খোকসা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আশফাক সোহাগসহ খোকসা ও কুমারখালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত ভিন্নধর্মী ‘এক সিপাহীর না বলা কথা’ বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ একেছেন ধ্রুব এষ। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বই মেলার ১৫ প্যাভিলিয়নে। এছাড়াও মনিরুল ইসলাম মিন্টুর ০১৭১৬–৬০১১৬৪ সাথে যোগাযোগ করেও সংগ্রহ করা যাবে বইটি।
এক গভীর রাতে দুই বন্ধু ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যান। উদ্দেশ্য, আফগানিস্তান অথবা ভারত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে, দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশ নেয়া। রাতে আশ্রয় হয় এক বাঙালির বাড়িতে। কিন্তু সেই বিশ্বাসঘাতক তাদেরকে তুলে দেন পুলিশের হাতে।
এর পর বিচার শুরু হয় সেনাবাহিনীতে। জেলে পরিচয় কয়েকজন সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি এবং এক হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। ঘটনা প্রবাহে প্রেম, আফগান সীমান্তে জীবন–মৃত্যুর সঙ্গে এক ধরনের যুদ্ধ। ধারণা ছিল সেনা বিচারে হয়তো ফাঁসি হয়ে যাবে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে! বেঁচে ফিরেন আবুল কাশেম। সেই কঠিন মুহূর্তগুলোর স্মৃতিকথা লিখে রেখেছিলেন ডায়েরির পাতায়। এবার বইয়ের পাতায় উঠে এসেছে সেসব অজানা কথাগুলো।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সেই সব অজানা স্মৃতি কথা তুলে এনেছেন বইটিতে….
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আহসান নবাব, মহাসচিব রবিউল আলম বাবুল, কুমারখালি উপজেলা সমিতি ঢাকার সহসভাপতি ও সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ, কুষ্টিয়ার ইতিহাস গবেষক আবুল ফজল পাইলট, কুমারখালি স্টুডেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা উন্নয়নকর্মী আশরাফুল আলম সাগর, আইডিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রহমত আলী।