মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ক্লাসে বিশ্বনবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল ফিরে দেখা’র উনযুগপূর্তি উৎসব পালিত জমকালো আয়োজনে ৭৬ তম আর্ন্তজাতিক ক্রেডিট ইউনিয়ন দিবস পালিত বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খোকসায় মুফতি ফয়জুল করীমের যাত্রা বিরতি পাংশায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা এইচ.এস.সিতে আসিফের অনন্য সাফল্য এইচ.এস.সিতে আসিফের অনন্য সাফল্য পাংশা পৌর সভায় মন্দির সমূহে নিরাপত্তায় কাজ করেছেন যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম ফরিদ পাংশায় র‌্যালী মহড়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় আপনাদের পাশে ছিলাম আছি থাকবো -হারুন অর-রশিদ হারুন পাংশায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু প্রধান উপদেষ্টার সাথে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক খোকসার ফুলবাড়ি গ্রামে সিরাজ সর্দার কর্তৃক রাসুল (সঃ) কে কটূক্তি স্বামীর পরোকিয়া জেনে ফেলাই  কাল হলো রুমা’র !
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

‘আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের রায়, এ দায় কার??? ‘

শেখ শাহিন / ৪৭৫ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেখ শাহিনের কলাম ……
আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের ঐতিহাসিক রায়,  এ দায় কার??????
বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ দ্বারা আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের রায়ে ২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একজনের হত্যার দায়ে ২০ জন ছাত্রের ফাঁসি কার্যকরের পক্ষে আমি না। ছাত্রলীগের এই হত্যাকান্ডের সবধরণের বিচার হোক কিন্তু মৃত্যুদণ্ড না
১ খুন, ২০ জনের ফাঁসি, পাঁচ জনের যাবৎজীবন আর ২৬টি পরিবারের হাহাকার। এই রায়ে খুশি হওয়ার কি কোন কারণ আছে? এই ২৬ জনের কারোতো এমন পরিণতি হওয়ার কথা না। একজন ছাত্রকে বুয়েটে ভর্তি পর্যন্ত নিতে এর পেছনে কত মানুষের কত শ্রম, কত স্বপ্ন ছিল একটু ভাবুন। বুয়েট দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম। এই ২৫ জনের কারোইতো খুনি হওয়ার কথা না। এরা বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার হতে। এরা সবাই প্রচন্ড মেধাবী। এদের অনেকেই হয়ত বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারতো। বড় বড় গবেষক হতে পারতো। কত কিছু করতে পারতো। কত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কারণ হতে পারতো। আবরার হত্যাকারীদের ক্রিমিনাল বানাল কারা? তাদের কি কোনো বিচার হবে? আসল খুনিতো তারা। অথচ তারা থাকবে ধরা ছোয়ার বাহিরে। এরাতো একজন আবরারকে খুন করেছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে হাজার হাজার আবরারের স্বপ্নের মৃত্যু হচ্ছে সেই খবর কজন জানি? এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত ছাত্র কত স্বপ্ন নিয়ে আসে। আসলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হলো হাজার হাজার স্বপ্নবাজ মানুষের গিজগিজ করা জায়গা। সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নের খুনের দায় কি এড়াতে পারে? পৃথিবীতে এমন কয়টি দেশ আছে ছাত্র হয়ে ছাত্র খুন করে, ছাত্র হয়ে ছাত্রকে টর্চার করে। শুধুই কি ছাত্র? একই ধারাবাহিকতায় মাত্র কদিন আগে কুয়েটের অধ্যাপকের অপমৃত্য হলো। তার সাথে তার ৬ বছরের এক কন্যা ও গোটা পরিবারের আজীবন হাহাকার। অধ্যাপক সেলিমের বাবা ছিলেন সবজি বিক্রেতা। বাবার সাথে সেও সবজি ফল বিক্রি করেছে। এইরকম পরিবারের একটি ছেলেকে কুয়েটের মত একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হতে কত কষ্ট ছিল? তাকে ঘিরে তার পরিবেশের কত স্বপ্ন ছিল? সে অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করেছে। পারতো অনেকের মত অস্ট্রেলিয়াতে থেকে যেতে। তাহলে হয়তো আজও সে বেঁচে থাকতো। সে যদি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিত তাহলেও সে বেঁচে থাকতো। ছাত্রলীগের নেতারা হলের ডাইনিং ব্যবস্থার কন্ট্রোল নিতে চেয়েছিল। একজন নেতার নাকি ২০ হাজার টাকা খাবারের বিল বাকি ছিল। অধ্যাপক সেলিম সেটার সুরাহা করতে চেয়েছিলেন। এই দেশে ভালো কাজ করতে চাওয়া যে কত কঠিন হয়ে যাচ্ছে তা অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু প্রমান করে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হওয়ার কথা পড়াশুনা আর আনন্দের। এইটাতো মৃত্যুপুরী হওয়ার কথা না। যারা আমাদের ক্যাম্পাসগুলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যতের অপমৃত্যু ঘটাচ্ছে তাদের কি কখনো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারব?
জাতির শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানের মাইটোকন্ড্রিয়া বুয়েট, আলোকিত মানুষ হওয়ার সম্ভাবনার সোপান আমরা সবাই জানি। একটি উৎকৃষ্ট মাথা জাতির ছাতা। সেই ছাতির শলাকা চূর্ণ বিচূর্ণ করছে নষ্টালজিক রাজনৈতিক দলবল। আলোকিত দ্বীপশিখা গুলো অচেনা দমকা হাওয়ায় ম্লান করে দিল। এক জনের মৃত্যুর জন্য ২৫ জন বীজের চারা অঙ্কুরেই বিনষ্ট! এ দায় কার? কে রাজনৈতিক উদ্ভট ভূত মাথার মগজে ঢুকে দিয়েছিল? তাদের ফাঁসি চাই! মধ্যবিত্তপরিবারের স্বজন দের বুকে জ্বলন্তআগুনের তীক্ষ্ণ বর্শা ছুড়েছে। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ দ্বারা আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের রায়ে ২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একজনের হত্যার দায়ে ২০ জন ছাত্রের ফাঁসি কার্যকরের পক্ষে আমি না। ছাত্রলীগের এই হত্যাকান্ডের সবধরণের বিচার হোক কিন্তু মৃত্যুদণ্ড না।১ খুন, ২০ জনের ফাঁসি, পাঁচ জনের যাবৎজীবন আর ২৬টি পরিবারের হাহাকার। এই রায়ে খুশি হওয়ার কি কোন কারণ আছে? এই ২৬ জনের কারোতো এমন পরিণতি হওয়ার কথা না। একজন ছাত্রকে বুয়েটে ভর্তি পর্যন্ত নিতে এর পেছনে কত মানুষের কত শ্রম, কত স্বপ্ন ছিল একটু ভাবুন। বুয়েট দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম। এই ২৫ জনের কারোইতো খুনি হওয়ার কথা না। এরা বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার হতে। এরা সবাই প্রচন্ড মেধাবী। এদের অনেকেই হয়ত বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারতো। বড় বড় গবেষক হতে পারতো। কত কিছু করতে পারতো। কত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কারণ হতে পারতো। আবরার হত্যাকারীদের ক্রিমিনাল বানাল কারা? তাদের কি কোনো বিচার হবে? আসল খুনিতো তারা। অথচ তারা থাকবে ধরা ছোয়ার বাহিরে। এরাতো একজন আবরারকে খুন করেছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে হাজার হাজার আবরারের স্বপ্নের মৃত্যু হচ্ছে সেই খবর কজন জানি? এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কত ছাত্র কত স্বপ্ন নিয়ে আসে। আসলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হলো হাজার হাজার স্বপ্নবাজ মানুষের গিজগিজ করা জায়গা। সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নের খুনের দায় কি এড়াতে পারে? পৃথিবীতে এমন কয়টি দেশ আছে ছাত্র হয়ে ছাত্র খুন করে, ছাত্র হয়ে ছাত্রকে টর্চার করে। শুধুই কি ছাত্র? একই ধারাবাহিকতায় মাত্র কদিন আগে কুয়েটের অধ্যাপকের অপমৃত্য হলো। তার সাথে তার ৬ বছরের এক কন্যা ও গোটা পরিবারের আজীবন হাহাকার। অধ্যাপক সেলিমের বাবা ছিলেন সবজি বিক্রেতা। বাবার সাথে সেও সবজি ফল বিক্রি করেছে। এইরকম পরিবারের একটি ছেলেকে কুয়েটের মত একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হতে কত কষ্ট ছিল? তাকে ঘিরে তার পরিবেশের কত স্বপ্ন ছিল? সে অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করেছে। পারতো অনেকের মত অস্ট্রেলিয়াতে থেকে যেতে। তাহলে হয়তো আজও সে বেঁচে থাকতো। সে যদি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিত তাহলেও সে বেঁচে থাকতো। ছাত্রলীগের নেতারা হলের ডাইনিং ব্যবস্থার কন্ট্রোল নিতে চেয়েছিল। একজন নেতার নাকি ২০ হাজার টাকা খাবারের বিল বাকি ছিল। অধ্যাপক সেলিম সেটার সুরাহা করতে চেয়েছিলেন। এই দেশে ভালো কাজ করতে চাওয়া যে কত কঠিন হয়ে যাচ্ছে তা অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু প্রমান করে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হওয়ার কথা পড়াশুনা আর আনন্দের। এইটাতো মৃত্যুপুরী হওয়ার কথা না। যারা আমাদের ক্যাম্পাসগুলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যতের অপমৃত্যু ঘটাচ্ছে তাদের কি কখনো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারব? ।
শেখ শাহিন
শিক্ষক, অক্সফোর্ড পিপলস স্কুল সাভার, ঢাকা। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর