বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সারা দেশে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের ধর্মঘটকে যথার্থ বলে দাবি করেছেন। পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের মালিকপক্ষের একটি কর্মসূচি চলছে, যেটি যথার্থ। হঠাৎ করে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়া একবারে ১৫ টাকা ডিজেল, কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রদ্ধা জানান গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তাদের সঙ্গে প্রায় ৫০০-৬০০ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নুর বলেন, ‘এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব। তেলের দাম যে বৃদ্ধি করা হয়েছে এটি প্রত্যাহার করতে হবে। কর্তৃপক্ষকে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে এটার একটা সমন্বয় করতে হবে।’ এ সময় পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘জাতীর বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে এখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে আমাদের কর্মসূচি শুরু করলাম। জনগণের দৈনন্দিন জীবন যাতে আরও সহজ, নিরাপদ এবং তাদের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, এ জন্য আমরা কাজ করব।’ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জোটে অংশগ্রহণ করব কি না সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু যারা দেশের অধিকার চায়, মুক্তির স্বাধীনতা চায় এবং যারাই মানুষের ভোটের অধিকার ফেরত দেয়ার জন্য সংগ্রাম করতে রাজি আছে, তাদের সবার সঙ্গে আমরা দাঁড়াব।’
বর্তমানে সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না- এমন প্রশ্নে নুর বলেন, ‘বর্তমান সরকার একটা দুর্বৃত্তের সরকারে পরিণত হয়েছে। যারা রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সব প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয়করণের মধ্য দিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ‘কাজেই এই সরকারের অধীনে এবং এই সেটআপে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা পাগলও বিশ্বাস করবে না। সে ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হতে পারে। জাতীয় সরকারের অধীনে হতে পারে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু এই সরকারের অধীনে নয়।’