ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিথা এলাকায় মো. ছদর উদ্দিন (৫৫) নামের এক মাছ ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহতের ছেলে শামীম হোসেন জানান, গত রোববার সকাল ১০টার দিকে ছদর উদ্দিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং মঙ্গলবার (১২ মে) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু বরণ করে ছদর উদ্দিন।
পরে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত করে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের ছেলে শামীম হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত ছদর উদ্দিন উপজেলার বালিথা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ বেপারির ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। এদিকে খুনি খোকন (৪০) উপজেলার একই এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সুত্র জানায়, উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের মৃত হানিফ বেপারীর ছেলে ছদর উদ্দিন বেলিশ্বর গ্রামে খোকনের কাছ থেকে পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিল। ছদর উদ্দীন সেই পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করে এবং খোকনের বাড়িতেও মাছ পাঠায়। কিন্তু তারপরও সে মাছ না দেওয়ার কথা বলে গত রোববার সকালে ছদর উদ্দিন পুকুর পারে গেলে খোকন তার সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে খোকন ছদর উদ্দিনকে হাতে থাকা তেলের কন্টিনার নিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং পরে ছদর উদ্দিনের বুকে লাথি মারে এবং তার হাত টান দিয়ে ভেঙে ফেলে। ছদরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে খোকন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ছদর উদ্দিনকে প্রথমে ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়, এবং পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার সুপার ক্লিনিকে নেওয়ার পর তাকে সেখান থেকেই ঢাকা নিওরো হাসপাতালে নেন।পরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে ছদর উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
নিহতের লাশ পুলিশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে পুলিশ এখনও অভিযুক্ত খোকনকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা যায়।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, লাশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।