কবি এস.আই জনি’র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও চারটি স্বরচিত কবিতা
কবি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন জনি। তিনি মূলত এস.আই.জনি নামেই সমধিক পরিচিতি লাভ করেছেন।জন্মেছেন ১৯/০৪/১৯৮৩ ইং সালে ঝালকাঠি জেলার, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের পোষ্ট দেউলকাঠি, পশ্চিম বিন্নাপাড়া গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে।। পিতাঃ মরহুম সৈয়দ সুলতান হোসেন, মাতাঃ মরহুমা মোসাম্মৎ জয়গুণ বিবি, পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। স্কুল জীবন থেকেই তিনি লেখালেখির সাথে জড়িত। দুই হাজার সালে আলী নজরুল সম্পাদিত ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দুইশত কবির প্রেমের কবিতা নিয়ে প্রকাশিত নীলাঞ্জনা নামক গ্রন্থে…. প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা @ স্বপ্নের স্মৃতি তুমি @ কবিতাটি প্রকাশ পায়। সেই থেকে আজ অবধি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ম্যাগাজিনে কবিতা প্রকাশ অব্যাহত আছে। তাছাড়াও ভারতীয় বাহিনী পত্রিকা ” কুয়ে বলছে ” সেখানে একাধিক কবিতা ছাপানো হয়েছে। দুই হাজার দশ ও দুই হাজার এগারো সালে ঢাকা নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভার্মেন্টাল ক্লাবে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য এবং পরিবেশ ও আমাদের জলাভূমি নামক গ্রন্থে….. কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত অসংখ্য সাহিত্য সংগঠন থেকে নানাবিধ সম্মাননায় ভূষিত করেছে। তারমধ্য উল্যেখযোগ্য হলো- কবি সংসদ বাংলাদেশ কর্তৃক একাধিকবার অভিনন্দন ও সম্মাননা পত্র , গাংচিল সংগঠনের সম্মাননা পত্র, দুই হাজার তেরো সালে মানবাধিকার কবি সোসাইটির পক্ষ থেকে সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে প্রধান বিচারপতির নিকট থেকে কাজী নজরুল ইসলাম জন্মজয়ন্তী ক্রেষ্ট প্রাপ্ত। দুই হাজার ষোলো সালে বাংলাদেশ পোয়েট্স ক্লাব থেকে জাতিসংঘ দিবস সম্মাননা, মেডেল ও উত্তরীয় প্রাপ্ত। দুই হাজার ষোলো সালে বাংলাদেশ মিডিয়া ইনস্টিটিউট থেকে সম্মাননা সনদ ও ক্রেষ্ট প্রাপ্ত । দুই হাজার সতেরো সালে ভারত থেকে মাতৃভাষা সাহিত্য সম্মান – পত্র প্রাপ্ত। দুই হাজার সতেরো সালে বাংলাদেশ কবি-লেখক ফোরাম থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ক্রেষ্ট প্রাপ্ত। দুই হাজার সতেরো সালে বাংলাদেশ কবি-লেখক ফোরাম থেকে সিলেট মুসলিম সাহিত্য কেন্দ্রে ক্রেষ্ট প্রাপ্ত। বাংলাদেশ পোয়েট্স ক্লাব থেকে ৯ম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন-২০১৭ তে ক্রেষ্ট, উত্তরীয়, মেডেল, ও সনদপত্র প্রাপ্ত। দুই হাজার সতেরো সালে পনেরো ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলাপরিষদে আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে বাংলাদেশ কবি-লেখক ফোরাম কতৃক সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রাপ্ত। দুই হাজার বিশ সালের দুই জানুয়ারি বিশ্ব সাহিত্য সম্মেলনের পক্ষ থেকে বিপ্লবী কবি আব্দুল খালেক সম্মাননা স্মারকে ভূষিত এছাড়াও আরো অন্যান্য সাহিত্য সংগঠন থেকে নানাবিধ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে বর্তমানেও চলমান রয়েছে সর্বদা সদালাপী, ধর্মানুরাগী, ও পরোপকারী মানুষ হিসাবে এবং সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে আগ্রহী। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বি.এস.সি । সাহিত্য সেবার লক্ষ্যে যেসকল সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছি তার কয়েকটি নিন্মে তুলে ধরা হলো। ০১, অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা , ০২, বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব সাহিত্য পরিষদের সহ দফতর সম্পাদক , ০৩, গাঙচিল সাহিত্য পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ০৪, আন্তর্জাতিক কংগ্রেস সাহিত্য পরিষদের প্রচার সম্পাদক , ০৫, বাংলাদেশ কবি-লেখক ফোরামের সাবেক, সাহিত্য সম্পাদক , এছাড়াও আরও অন্যান্য বিভিন্ন সংগঠনের সাথে বিভিন্ন পদে ও সান্নিধ্যে সক্রিয় কর্মজীবনঃ পোষাক-শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোয়ালিটি ইঞ্চার্জ পদে চাকুরী করছিলেন। করোনার পরিস্থিতির কারণে তাকে বর্তমানে কর্মহীন জীবন যাপন করতে হচ্ছে । বর্তমান ঠিকানাঃ মিরপুর – ১১ সেকশন – ০৭ মোহনা টেলিভিশন ভবন সংলগ্ন রোড নং – ০১ পল্লবী , ঢাকা । মোবাইল নং- ০১৭১৮১৬৩৫৫১ / ০১৯১৯২৯৩১৫৪ ফেইসবুকঃ এস.আই. জনি / Sayed Ismail Hossain / S.i. Jony ইমেইলঃ ismail.woven@gmail.com ইউটিউবঃ এস. আই. জনি সাহিত্যের একজন নিবেদিত কর্মী হিসাবেই জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।
নিম্নে তার স্বরচিত চারটি কবিতা প্রকাশ করা হলো। আশা করছি পাঠক মহল তা পাঠে পুলকিত, বিনোদিত ও আনন্দিত অনুভব করবেন।
এক.
নবীর প্রেমে আত্মহারা
ওগো রাসূল সুরভী ফুল
আমার নয়নের মণি,
প্রাণ আকুল সদা ব্যাকুল
দোযাহানের তুমি ধনী।
নাই তুলনা একচুল না
দয়ার নবী দ্বীপ্ত রবি,
দ্বার খুলনা তুমি ভুলনা
আমি নাদান তুচ্ছ কবি।
অমিয় জানি তোমার বাণী
করোনি ভুল কোনমতে,
অন্তর খানি মায়ার রাণী
তুমিই শ্রেষ্ঠ এ জগতে।
আসল ছবি উজ্জ্বল রবি
নিরন্তর শ্রদ্ধা জানাই,
কবির কবি নবীর নবী
তোমার তুল্য কেউ নাই।
পরশমণি সোনার ক্ষণি
সকলের হৃদয়ে ঠাই,
নই ধনী এস. আই.জনি
তোমার গুণগান গাই।
তরুর ছায়া তোমার মায়া
অন্তর ভরা ভালবাসা,
নয় অপয়া আমার কায়া
শাফায়াৎ পাবার আশা।
তোমার প্রেমে স্বপ্নের ফ্রেমে
সামান্যতম নাই খাদ,
যাবনা থেমে যাচ্ছি ঘেমে
করে প্রেমের চাষাবাদ।
তুমিই দাতা তুমিই ভ্রাতা
সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ নবী,
দ্বীন নির্মাতা উম্মত ত্রাতা
বিশ্বময় জ্বলন্ত ছবি।
দেইনা ফাকি তোমায় ডাকি
ভক্তিভরে দিবস যামী,
বিশ্বাস রাখি পরাণ পাখি
তোমার দেখা পাবো আমি।
প্রেম মায়ায় সৃষ্টি ছায়ায়
সদাশয় পাগলপারা,
সত্য ধারায় মন হারায়
তোমার প্রেমে আত্মহারা।
দুই.
বিজয় দিবস
ষোলোই ডিসেম্বর আসে সর্বদা বিজয়ের বার্তা নিয়ে
চুড়ান্ত বিজয় সাধিত হইছে এই দিনটির মধ্য দিয়ে।
ভেবে না পাই কিভাবে বুঝাই সেই দিনের কথা?
বহু কষ্টের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।
ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার সূত্রপাত
পাকিস্তানিদের সাথে সেজন্য লেগেছিলো সংঘাত।
বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি মানেনাকো পরাধীনতা
শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে অর্জন করেছে স্বাধীনতা।
জাতিধর্ম বিভেদ ভুলে করেছে সংগ্রাম সবাই মিলে
নরপশুদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিছে তিলেতিলে।
ন্যায্য অধিকার আদায় করতে শহীদ হয়েছেন যারা
বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সন্তান তারা।
তাদের আত্মত্যাগের কথা সবাই মনে রাখবো
সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা মিলেমিশে থাকবো ।
বাঙালি জাতি কোথায়ও কভু কারো কাছে নোয়ায়নি মাথা
বীর বাঙালির সেই ইতিহাস বিশ্ববাসীর হৃদয়ে গাথা ।
বিজয়ের এই আনন্দক্ষণে সর্বজনে শপথ করবো
স্বাধীনতার মান অক্ষুণ্ণ রেখে শত্রুমুক্ত সমাজ গড়বো।
ভাষার জন্য যুদ্ধ করে জন্মভূমিকে করেছি স্বাধীন
বিজয় উল্লাস করবো সবে বাজাবো আজ বিজয়ের বীণ।
তিন.
স্বার্থপর
বেদনার বিষে আক্রান্ত আমি
চলতে চলতে হঠাৎ থামি
চিন্তায় চিন্তায় গেলাম ঘামি
বাঁচাও আমাকে হে অন্তর্যামী ।
আপন লোকজনে ভুল বুঝে
মুক্তির উপায় পাইনা খুঁজে
লজ্জায় থাকি আমি মাথা গুজে
পড়েছি ভীষণ কনফিউজে ।
যাদেরকে আমি ভাবি আপন
তারাই দেয় জীবন্ত দাফন
মরার আগে পরায় কাফন
এভাবে করছি দিন যাপন ।
সইতে পারিনা ব্যথার জ্বালা
জীবনটা আমার ফালাফালা
পরায় আমায় মিথ্যার মালা
অহেতুক করে অন্তর কালা ।
সবাই আমাকে ফুটায় হুল
ঝরে পরে যায় ফুটন্ত ফুল ,
মানুষ চিনতে করছি ভুল
পদেপদে দেই সেই মাশুল ।
ভুল বুঝে সবে করে অপমান
হৃদয় ভেঙে হলো খানখান ,
সর্বদা গাই বিরহের গান
হে অন্তর্যামী আমাকে বাঁচান ।
কেউ শোধায়না আমার ঋণ
অন্তরেতে বাজে ব্যথার বীণ,
বেদনায় পার করছি দিন
আজ আমি উপায়হীন ।
যারে ভাবি আপন সে হয় পর
সাধু সেজে এসে ভাঙে অন্তর ,
বেদনায় কাঁদি জীবনভর
মানুষ কেনো এতো স্বার্থপর ?
চার.
তোমাকে পাবার জন্য
তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে
শুনবো প্রেমের গান,
তুমি আমার সুরের বীণা
হাজার গানের তান ।
তোমার পরশ পেলে আমি
হয়ে যাবো চিরসুখী ,
তোমাকে পাবার জন্য তাই
নিতে পারি শত ঝুঁকি ।
লাভক্ষতির চিন্তাভাবনা
নাই কিছু এই মনে ,
পরাজয় মানবোনা প্রেমে
হারবোনা আমি রণে ।
প্রেমের জন্য মরণ হলে
কখনো করিনা ভয় ,
সকল বাধা পিছনে ফেলে
প্রেমকে করবো জয় ।
প্রেম খেলা খেলবো দুজনে
সব বাধা তুচ্ছ করে ,
বাধার কাছে হার না মেনে
জয়ী হবো সর্বস্তরে ।
তুমি আমার সরলপ্রাণে
দিওনা কভু আঘাত ,
তোমার কাছে এই মিনতি
করি আমি দিনরাত ।
আমার প্রেম সব তোমাকে
দিলাম উজাড় করে ,
সারাজীবন তোমাকে আমি
হৃদয়ে রাখবো ধরে ।
একটুখানি সুখের আশায়
তোমাকে ভালোবাসবো ,
বাধাবিঘ্ন সব ছিন্ন করে
তোমার কাছে আসবো ।
একে অন্যের ভালোবাসায়
জীবন করবো ধন্য ,
মৃত্যুকে আমি ভয় করিনা
তোমাকে পাবার জন্য ।
আমি এই পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি ।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন জনি