ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের পরীক্ষা সশরীরে শুরু হতে যাচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। বুধবার (১৮ আগস্ট) অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়। শুরুতেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্নাতক ২য় বর্ষের অনিয়মিত, মানোন্নয়ন ও বিশেষ (অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) পরীক্ষার রুটিন সাত কলেজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এটি নিয়মিত পরীক্ষা নয়। বরং লকডাউনের আগে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের পরীক্ষাসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরদিনই নানান কারণে পিছিয়ে পড়া সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ করে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় বিশেষ বিবেচনায় ও শর্তসাপেক্ষে কেবল সাত কলেজের নিয়মিত চলমান পরীক্ষা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর লকডাউন শুরু হলে আবারও সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ অনিয়মিত, মানোন্নয়ন ও বিশেষ (অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) পরীক্ষা অন্যতম।
সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্বিতীয় বর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো এসব ছাত্ররা দ্বিতীয় বর্ষে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় চতুর্থ বর্ষ পাশ করেও সনদ পাচ্ছে না। চাকরির আবেদন করতে পারছে না। আবার কেউ ১/২ বিষয়ের জন্য তৃতীয় বর্ষে বা চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পাচ্ছে না। মরিয়া হয়ে উঠছে তারা। পরীক্ষার জন্য নিয়মিত ধর্ণা দিচ্ছে। সুসাইডের হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তিকৃতদের মিলানোর সুযোগ নেই। ডিগ্রি পাস কোর্সের শিক্ষার্থীরাও অন্যদের তুলনায় ৩/৪ বছর পিছিয়ে। এদের পরীক্ষাও স্থগিত হয়েছিল। এই দুটো পরীক্ষাই ১ সেপ্টেম্বর হতে শুরু হবে। প্রথমে দ্বিতীয় বর্ষের বিশেষ পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। অন্যগুলোও পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে।
|