শেষ বিকালের মেয়ে
-বিচিত্র কুমার
পৃথিবীর সমস্ত আলোক রশ্মি নিয়ে তুমি চলে যাচ্ছিলে
সেদিন পড়ন্ত বিকালে তোমাকে দেখেছিলাম,
একঝলক মিষ্টি হাসি দিয়ে নিজ গন্তব্যের দিকে
আর আমি নিস্তব্ধ পৃথিবীর মতো দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হচ্ছিলাম।
টিপটিপ বৃষ্টি পড়চ্ছিলো অরণ্য আর বনে ফুলে ফুলে
পৃথিবীর সমস্ত স্নিগ্ধতা যেন ঝরচ্ছিলো তোমার চাঁদ মুখে,
ঝর্ণার বুকে যেমন রঙধনুর সাতটি বর্ণিল রূপ
ঠিক তেমনি কাজলে আঁকা ভ্রুর ফাঁকে মায়াবী দুটি চোখে,
সেদিন তুমি সাদাপারা হলুদ বর্ণের শাড়ি পড়েছিলে
শ্রাবণের মেঘের মত ঘনকালো চুলে কদমফুলে বেঁধেছিলে,
কপালে কালো টিপ নাকেতে নথ দু’কানে ঝুমকা
সাদা আর হলুদ রঙে রঙে সেজেছিলে।
নকশীকাঁথার মতো মেহেদী আঁকা দু’হাতে পড়েছিলে চুরি
তুমি হেঁটে যাচ্ছিলে নরম মাটির উপর,
আমি শুধু নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে দেখছিলাম সেই অপরূপ
আলতা রাঙা পায়ে বাঁজচ্ছিলো ঝুমুর ঝুমুর নূপুর।