এ হয়রানির শেষ কোথায়?
শেখ শাহিন
বর্বর যুগের ক্রীতদাস আর আধুনিক যুগের গার্মেন্টস শ্রমিক, একই ধুতরা ফুলের বৃত্তে আটকানো। সমগ্র বাংলাদেশ আজ ফ্যাসিস্টদের হাতে জিম্মি। এদের জীবনে নিছক কোন মূল্য নেই।সরকার, মন্ত্রী, আমলা, শিল্পপতিদের অদৃশ্য টাল মাটাল দুর্বল সুতায় বাধা শ্রমিকদের জীবন। অনুভূতিহীন রাষ্ট্রযন্ত্র লকডাউনের নামে দেশের শ্রমিক জনতাকে নানা ভোগান্তিতে ফেলে তাদেরকেই অন্ধ মূর্খ তকমা দিচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চে যখন প্রথম বার লকডাউন ঘোষণা হলো তখন শুরুতেই মানুষ ছুটলো নাড়ীর টানে পল্লীর নীড়ে। ঢাকাথাকার অনিশ্চয়তা, করোনা সংক্রমনের ভয়ে, খাবে কি, অজানা ভয়ে গ্রামে যায়।কিছু দিন অতিক্রম করার পরে মালিকদের অনুরোধে গার্মেন্টস খুলে দেয় , শ্রমিকরা মাইলের পর মাইল পথ হেটে, বৃষ্টিতে ভিজে, নিদারুণ কষ্টে কর্মস্হলে প্রত্যাবর্তন করে, চাকুরী নামের সোনার হরিণটা বাচানোর অভিপ্রায়ে। সারা বাংলা লক ডাউনের আওতায় শুধু কারখানা খোলা থাকার কারনে শ্রমিকদের অসহনীয় বিপদে পড়তে হয়েছে বার বার। কর্তৃত্ববাদী, জুলুমই যদি প্রধান পথ হয় তাহলে এইপথ আরো প্রশস্ত করতে গার্মেন্টস মালিকদের হাতে হাত রেখেই শ্রমিক শোষণ জুলুম বজায় রাখতে আপনারা সেরা। কি করবে সরকার, গোলকধাঁধায় আটকে গেছে। উদভ্রান্তের মতো ছুটাছুটি করে ঈদের আনন্দে গৃহমুখী হয়েছিল । লকডাউনের মধ্যেই গার্মেন্টস খোলা , তারা স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম শৃঙ্খলা তোয়াক্কা না করেই স্বীয় স্বার্থে কর্মস্হলে এখনো আসছে। চরকির মতো,লেজে কেরোসিনের টিন বেধে দিলে কুকুর যেমন ঘোরে তেমনিভাবে শ্রমিকদের ঘুরানো হচ্ছে। কেবল একটা দুর্বোধ্য নির্দয় তাড়নায় দিশেহারা হয়ে অবিশ্রান্তভাবে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পশ্চাদ্ধাবনিত অসহায় পশুর মতো ছুটাছুটি করছে তারা। এদের এ নিদারুণ কষ্টের অবসান ঘুচবে কবে।?
অক্সফোর্ড পিপলস স্কুল, সাভার,ঢাকা।