বর্ষারাণী
-বিচিত্র কুমার
ছলাৎ ছলাৎ জলে মেয়ে কুটিকুটি হেসে
বর্ষারাণী হাতছানি দেন একাকী আমায় বাহিরে,
চুলগুলো তার দীঘলকালো আষাঢ়ের মেঘের মতো
নিপুণ হাতে কচি পাতার বোনা শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে।
দু’কানে তার ঝুমকা দোলে কদম ফুলে ফুলে
নাকের নথ বানিয়ে নিয়েছে কলমিলতা দিয়ে,
খোঁপাতে তার ফুলের সুবাস বর্ষার ফুল বেঁধে
ডাগর ডাগর দু’চোখ মেলে চায় যেন মেয়ে।
হলুদ বর্ণ রূপ তার মায়াবী মুখের হাসি
যেন হাজার ফুলের মাঝে রঙিন এক পাখি,
ঠোঁট দুটি তার লালটুকটুক ঠিক বেদানার দানা
হঠাৎ যখন খুলে দেখি আমি দুটি আঁখি।
তখন কুটিকুটি হেসে ছলাৎছলাৎ জলে লুকোচুরি মেয়ে
ও যেন হেঁটে যায় অরণ্য আর বনে বৃষ্টি বাদল দিনে,
সুদূরে দেখা যায় হলুদ একটি পাখি স্বপ্নের দেশে
বারবার আমাকেই ডাকছে নিত্য আর গানে।
দুপচাঁচিয়া,বগুড়া।