মানবতার কথা বলি। মানুষের মুক্তির কথা বলি। মানুষ-মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করতে পারলে বোধ করি নারীও মুক্তি পাবে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। মনুষত্ববোধের বিলুপ্তি ঘটার কারণে। আর মানুষের মনুষত্ব জাগ্রত করবে কে? কে নেবে এই দায়িত্ব? আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার কথা বলছেন? সেখান থেকেই সর্ব প্রথম মনুষত্ব, মানবিকতা, চরিত্রের উত্তম গুণাবলীর কবর রচিত হচ্ছে।
চরিত্রহীন অযোগ্য শিক্ষকের কাছে উত্তম চরিত্র শিক্ষার আশা করাও বোকামী। চরিত্রহীন কমিটির কাছে চরিত্রবান শিক্ষক আশা করাও বোকামী।
অবশ্যই শিক্ষকের প্রভাব ছাত্র-ছাত্রীর উপর পড়ে।
তারপর দেখি আমাদের সাংস্কৃতিক অংগন। ওপার থেকে পাঠানো নাটক, সিরিজ সিনেমা।
এরা কতটুকু ভূমিকা রেখেছে?
এরা যা কিছু দিয়েছে, নিয়েছে তার চেয়ে বেশি। পাখি জামার জন্য আমার দেশের নারীকে আত্ম হননের পথ বেছে নিতে হয়েছে। নাটকের সিরিয়াল দেখতে গিয়ে আগুনে পুড়েছে বসত বাড়ী, গবাদী পশু, কন্যা শিশুর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। হ্যাঁ, এই কিরণমালার নেশায় উনুনের আগুনের খবর বেমালুম ভুলে গেছেন নারী। কই, কোন আইনতো এসব বিদেশী চ্যানেল বন্ধ করলনা। বন্ধ করা হল পিস টিভি।
পিস টিভি দেখে চারিত্রিক স্খলন হয়না, তবুও সেটিই বন্ধ হয়।
আমাদের সমাজ এখন হিংস্র হয়ে উঠেছে। সমাজপতির মধ্যে ন্যায় পরায়নতা নেই। ইনসাফ নেই। উন্নত চরিত্র নেই। ক্ষমতালিপ্স নেতা,বিত্ত-বৈভবের মোহে আবিষ্ট জনপ্রতিনিধি। হুহু করে বাড়ছে পুরুষের বেকারত্বও। দুর্নীতি, মাদক মহামারী আকার ধারণ করেছে।
নারী আমার মা। আমার বোনসহ সবচে কাছের আপনজন।
নারীর মর্যাদা সবার উর্ধে। বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা আর নয়।
তাহলে পুরুষের প্রতি সহিংসতা হোক, নাকি?
সেকুলারিটি দেখান? মানবতার কথা বলেন? মানবতাবোধে কি কি কাজ করেছেন আপনারা দেখাতে পারবেন? দেখাবেন, লোন দিয়ে কিস্তি নিয়েছি। দেখাবেন, ঘুষ নিয়ে চাকরি দিয়েছি। মাইকে গলা ফাটিয়েছি। বলেছেনতো মানবতার কথা। আর মুহাম্মাদ ( সঃ) ইনসাফ করে দেখিয়েছেন।
মানুষ এখনো যতটুকু ভাল তা তার ধর্মের কারনেই। মানুষ যতটুকু সভ্য তা তাদের ধর্মের অনুশাসন আছে বলেই।
অধিকারের কথা বলেন? বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে সামাজিক রীতি-নীতি সব কিছুর মূলেই ধর্ম। সেকুলারিটিতে মানবতার কোন মুক্তি নেই। মুক্তি আসেনি।
তাই, বিশেষ কোন দিবসের গন্ডিতে নারীর অধিকার নয়, সারা বছর অধিকার নারী,পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু সকলে। সব মানুষের অধিকার সমুন্নত হোক। তাই এ জন্য প্রয়োজন আল কুরআনের প্রকৃত শিক্ষা।