ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা
সপ্তবর্ণা বাংলা আমার
ফুল ফসলে ভরা
মায়ের মতোই আপন তুমি
ভালবাসায় গড়া।
বৈশাখ মাসে, ঈশান কোণে
মেঘের আনাগোনা
বৃষ্টি -ঝড়ে,বানের পরে
চলছে ফসল বোনা।
আষাঢ় আসে বর্ষা নিয়ে
মেঘের ভেলায় ভেসে
শাপলা ফোটা ঝিলের জলে
জোস্না ওঠে হেসে।
শ্রাবণের, শ্রাবণ ধারায়
পানিতে থৈ থৈ
কিশোর ছেলে, বর্ষি ফেলে
ধরছে বসে,শৈল -টাকি আর কৈ।
ভাদ্র মাসের তাল চিড়া আর
তালের বড়া খেয়ে
নায়ারে যায় গাঁয়ের বধু
শারদীয় গীত গেয়ে।
হেমন্তে নবান্ন উৎসব
পিঠা পুলির ধুম
দস্যি ছেলে রাত জেগে রয়
নাইকো চোখে ঘুম।
কুয়াশার চাদরে মোড়া
শীতের আগমন
হিমেল হাওয়া যায় বয়ে তাই
জাগায় শিহরণ।
শীত সকালের,”দুধচিতোই “এর
নেইকো কোন জুড়ি
খেজুর রস আর গুড়-পাটালি
থাকলে সাথে মুড়ি।
ঋতুরাজে বাংলা সাজে
নববধুর সাজে
কোকিলের কুহুতান
সবার কানেই বাজে।
মায়ের বদন মলিন দেখে
চোখের জলে ভাসি
আমি,তোমার পাগল ছেলে
তোমায় ভালবাসি।