এক পশলা বৃষ্টিজল
এম.এস ফরিদ
বোশেখের শেষ জৈষ্ঠ্যের আগমন হলো-
কড়া রৌদ্রের বদলে এক পশলা বৃষ্টিজল পেলাম।
গা জুড়াল; সাথে মনও সিক্ত হলো শীতালু ছোঁয়ায়।
ঝপঝপ করে পড়া বৃষ্টির জল কণা গুলো মুক্তোর মত
গড়ায়ে পড়া সারা মাঠ খানি জুড়ে দেখেছি আমি।
আকাশের কোল ঘেষে মেঘমেদুর সাদাটে ধোঁয়া
যেন সূর্য কে আড়াল করতে এ এক মহা ঢাকনি।
দাঁড়ায়ে আছি স্কুল বারান্দার ঠিক দক্ষিণ কোণে
পলক পড়ল মাঠের দুপাশে দুটো কাঠবাদাম গাছের ওপর।
কি দারুন দোলাচল চিত্ত মোর পলকহীন নীরবতা।
বৃষ্টিজলে পাতা নড়ে; দুলনে বিমুগ্ধ প্রাণ।
সদ্য স্নাত গাছগুলি সতেজতা পেয়েছে;
মনে হয় বৃদ্ধ গাছ গুলো পেয়েছে যৌবন চেতনা।
লকলকে হলো সব তরুলতা পাতা।
সেখানে সবুজাভ বর্ণে ছোপানো কচি কচি পাতার হাসি।
চির সবুজের গায়ে যেন রূপ লাবন্য যেতেছে ভাসি।
দাওয়ার কোণ ঘেষে পড়া বৃষ্টিজল হাতে ছুঁয়ে দিলাম।
হিম হওয়া হাতের মত মনও হিমহিম হতে লাগল।
রৌদ্রদগ্ধ পরিবেশ টাকে শীতল করে গেল।
এ যেন তৃপ্ত করা এক প্রশান্তবদন পরিবেশ।
বাস্তবতার ছোঁয়া পেলাম