‘ কিংবদন্তী ফরিদী ,
…………………….আইনুল হোসেন সানু
এসে
নায়কের বেশে
সংলাপ শেষে খল নায়কের
হাসি হেসে, সংকলনে উদ্ভট শব্দের
কিঞ্চিত ব্যাবহার, উদভ্রান্ত ভাব সঙ্কুচিত
বৃঞ্চিক চোখে’ মুখে ছিলো সদা যার
নিত্য স্বভাব…
এই মেঘ
আর এই বৃষ্টি, ঝুলে থাকা
ঠোঁটের কোণে এক টুকরো রহস্যের হাসি
সে’ হাসির রেশ ছড়াত আভা মাতাতো ভূবণময়,
হঠাৎ
মেঘলা আকাশ চিরে
ফুরফুরে ঝিরি হাওয়া বহিত মনে আশ
যেন’ তন্ময় বারো মাস —–
উদ্বাসিত সতেজ
উচ্ছ্বসিত স্বচ্ছ সবুজ মন
চোখে’ ছিলো যার মনকাড়া শুভ্র
মিতালি র আবেদন, হাসি’ তে যার রইত
আমন্ত্রণ,
হাসতে
হাসাতে আর
কাঁদতে কাঁদাতে ছিলো পটু
সে’ যখন তখন,
থমকে,
কখনও সে’ চুপচাপ
বিতৃষ্ণিত গম্ভীর অথচ
চাঞ্চল্য বিদ্রুপ বিধুর মনোভাব
ছিলো না’ আসতে কাছে কভু কারো বারন,
যেন’ মন ছিলো সদা নিষ্কন্টক
চারণ ভূমি নিরাভরণ ….
সাদাসিদে
সংলাপে ছিলো
অতিসয় পটু, আলাপনে
কাড়তো মন মূহুর্তে সেকি’ বিভিষণ,
উচ্চ ভিলাসে
ছিলো সদা দু’ টি চোখে’
আলাপনে আল্পনায় আঁকা ছবি তার আর
ছিলো স্বপ্নের ঘোরে অনুক্ষণ …
শীত
গ্রীস্ম আর
বর্ষা’ তে ছাতা হীন
রৌদ্র দাহে ছিলো না উপেক্ষা
আপেক্ষিকতা যার
মোহ হীন
যেন’ সদায় ভাবলেষহীন
ঠকঠকে কাঁপুনি’ তে
তবু বিরামহীন বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
পরিক্রমায় গড়েছিলো সে’
মসৃন পথ দূর্গম ….
সেই পথ
আজও ফাঁকা
জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে হাতে
কত রাত নিমগ্নে ছিলো একা পথ হাঁটা
সেই পথে নেই আজ বিচরণ
চলাচলে শুভ্রতার ছলে অস্তাচল
বিভাসিত ছিলো কত সৃজন ….
চোখে’ মুখে হীন
ছিলো চরিত্রে
রঙ বে’ রং এ’ বহু রঙিন
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি না’ হয়েছিলো কভু
কটু আর ক্ষীণ,
পরিশুদ্ধতায় মোলায়েম নরম
তুলতুলে মন….
থেকে থেকে জ্বলে উঠা
হঠাৎ হুঙ্কারে যেন’ অগ্নিস্পর্শের
জ্বলন্ত আবর্তে ঘূর্ণিওমান দাবানল
অগ্নিময় স্ফুলিঙ্গের মতই ছিল সে’ ভবে
রবে সে’ সদা চিরকাল ঐ
আঁকড়ে একা আকাশের বুকে
উদিত লক্ষ কোটি নক্ষত্রের মাঝে
সদা হাস্যজ্বল জাজ্বল্যমান….
মূহুমূহু সদাশিব
দন্ডায়মান চমকে পরাভূত
ঝুঁকে বেঁকে নূয়ে পড়ে বুকের কাছে
খসে পড়া আলতো উষ্ণতায়
গলন্ত মোম অতি দুঃখে
ছিলো সে’ নিম্নগামী
অনন্ত চরাচরে
না’ ভেবে কভু দিনক্ষণ
কিবা দুঃখ সুখে সদায় সে’
হতেন ব্রহ্মচারী …