দেশের বিভিন্ন এলাকায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎকদের হয়রানী করা হচ্ছে।হোমিওপ্যাথি মেডিসিন ও চিকিৎসা পদ্ধতি যদি রাষ্ট্রের চোখে অপরাধই হবে তাহলে রাষ্ট্রের উচিৎ এই খাতকে নিষিদ্ধ করা। অথচ তা না করে বেছে বেছে ব্যক্তিগত আক্রোশে অথবা কাউকে খুশি করার জন্য অন্যায়ভাবে দুই একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। যার ফলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের মধ্যে ধীরে ধীরে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল বেলা কুষ্টিয়া থেকে এক ডাক্তার ফোন করলেন, কয়েকদিন আগে তার চেম্বারে হঠাৎ ভ্রাম্যমান আদালত হাজির হয়েছিলেন।সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকলেও আদালত বললেন, এখানে এলকোহোল বিক্রি করা হয় কিন্তু কোন প্রকার প্রমাণ তিনি করেননি যে আসলে কোনটা এলকোহল।জেল-জরিমানা হল।প্রকৃতপক্ষে এলকোহল তো হোমিওপ্যাথির প্রাণ। প্রতিটি ডাইলুয়েশনেই নব্বই শতাংশ এলকো থাকে।এখন কথা হচ্ছে, এটি চিকিৎসার নিমিত্তে ব্যবহার হচ্ছে নাকি মাদকাশক্তদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে? অন্যদিকে, সম্প্রতি হোমিওপ্যাথির বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চলছে আইনি লড়াই। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন তাদের বিরুদ্ধে যে সব ষড়যন্ত্র চলছে তার বিপক্ষে আইনি লড়াই ছাড়া বিকল্প পথে হাটা যাচ্ছে না।
MBBS(AM) ভুয়া ডিগ্রীধারী। তারা প্রকৃত MBBS চিকিৎসক নয়। ফলে MBBS(AM) নিজেদেরকে Alternative MBBS পরিচয় দেয়।তারা কোনো দেশে স্বীকৃত নয়। তাই তারা নিজেদেরকে চিকিৎসক ও নামের আগে ডাঃ লেখার জন্য মহামান্য উচ্চ আদালতে রীট করে। মহামান্য আদালত তাদের রিট খারিজ করে দেন এবং MBBS(AM) ভুয়া ডিগ্রীধারীরা মহামান্য আদলতে নিজেদেরকে অল্টারনেটিভ চিকিৎসক দাবী করে। প্রকৃত পক্ষে তারা অল্টারনেটিভ চিকিৎসক ও না। অল্টারনেটিভ চিকিৎসা বলতে হোমিওপ্যাথি,ইউনানী, আয়ুর্বেদ) চিকিৎসাকে বলা হয়। তাই মহামান্য আদালতে সঠিক তথ্য-উপাত্ত্ব না দেয়ার ফলে হাইকোর্ট কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন,সেখানে বলা হয় (হোমিওপ্যাথি, ইউনানী,আয়ুর্বেদ) চিকিৎসকগন ডাঃ লেখা বৈধ নয়।
আসলে (হোমিওপ্যাথি, ইউনানী,আয়ুর্বেদ) চিকিৎসকগন এই রিটের সাথে সম্পৃক্ত নয়। উল্লেখ্য যে হোমিওপ্যাথি, ইউনানী,আয়ুর্বেদ BMDC-Act-2010 অন্তর্ভুক্ত নয়। (হোমিওপ্যাথি, ইউনানী,আয়ুর্বেদ) চিকিৎসার নিজস্ব আইন রয়েছে এবং সেই আইনের মাধ্যমে (হোমিওপ্যাথি, ইউনানী,আয়ুর্বেদ) চিকিৎসক গন নামের আগে ডাঃ লিখতে পারেন।
তাই মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে আমরা আপিল করেছি এবং আশাকরি মহামান্য আদালত আমাদের বিষয়ে সঠিক রায় দিবেন।
(উল্লেখ্য বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রী রয়েছে BHMS,BUMS,BAMS এসব ডিগ্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত এবং বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত ডিগ্রী যা ৫ বছর একাডেমিক এবং ১ বছর ইন্টার্নশিপ সহ মোট ৬ বছরের কোর্স।
এছাড়া রয়েছে ডিপ্লোমা কোর্স (DHMS,DUMS,DAMS) যা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ও ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড নিয়ন্ত্রিত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত ৪ বছর ৬মাসের কোর্স)।