সাদ্দাম হোসেন, সাভার (ঢাকা)
সাভারের আশুলিয়ায় একটি চলন্ত বাসে তরুণীকে দলগত ধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে বাসটি।
শনিবার (২৯ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) আব্দুর রশিদ।
এর আগে শুক্রবার (২৮ মে) রাত ১ টার দিকে আশুলিয়া-সিএন্ডবি বাইপাস সড়কের আশুলিয়া গরুর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আটকরা হলো- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪) ও বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতো।
পুলিশ জানায়, রাতে ৯টার দিকে নবীনগর থেকে টঙ্গী যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিউগ্রাম বাংলা নামের একটি মিনিবাসে উঠে সেই তরুণী। পরে বাসটিতে থাকা যাত্রীদের সবাইকে নামিয়ে দেয় হেলপার ও চালক। বেশ কিছুক্ষণ বাসটি চলারপর টঙ্গী না গিয়ে পুনরায় নবীনগরের দিকে ফিরে আসে। এসময় আশুলিয়া বাজার গরুর হাট এলাকায় পৌছে বাসে থাকা অভিযুক্তরা গভীর রাতে ওই তরুণীকে দলগতভাবে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর সাথে থাকা ব্যাক্তির চিৎকারে টহল পুলিশ বুঝতে পেরে বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ৬ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) আব্দুর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।