আরফানুল জান্নাত
২০ বছরের তরুণ ও কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর গ্রামের শহিদ কামাল পাশা।তিনি জালালপুর গ্রামের মোঃ নুরুল হক ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি মেজর কেএম সফিউল্লাহ’র অধীনে ৩ নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ৪১ নং গ্রুপের সেকশন কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন । তিনি অসম্ভব সাহসী ছিলেন।৫ নভেম্বর গচিহাটা এলাকায় সংগঠিত এক সম্মুখ যুদ্ধে তিনি একজন পাকসেনাকে হত্যা করে ।
অতঃপর তিনি সহযোদ্ধা আব্দুর রশিদ সহ পুলেরঘাট হয়ে চৌদ্দশত বাজারের নিকটবর্তী খালের দক্ষিণপাশস্থ মুক্ত এলাকায় চলে আসেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ নভেম্বর ১৪ বাজারের নিকটবর্তী খালের উত্তর পাশ দিয়ে কতিপয় পাকসেনা পাল্টাগুলি ছুড়তে ছুড়তে পশ্চাদাপসরণ করার সময় প্রতিপক্ষের বুলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল পাশা শাহাদাত বরণ করেন।
শহিদ হওয়ার পর পাকসেনারা চলে যাওয়ায় রাত দশটায় লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে উঠোনে কবর দেওয়া হয়। কামাল পাশার ভাই নাহাস পাশা উনার কবরের ডিজাইন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন, তিনি বলেন আমার মায়ের ডিজাইনে শহীদ কামাল পাশার কবর তৈরি করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই সময়কার কটিয়াদী আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান খান চুন্নু মিয়ার সহায়তায় কিছু সরকারি অনুদান ও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে জাতীয় পতাকা খচিত এই কবরটি নির্মিত হয়েছিল।
উনার ভাষ্যমতে ,বাংলাদেশে হয়তো কোন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার এরকম কবর আমাদের চোখে পড়ে নাই। কারণ কবরের ডিজাইনটি আমার মায়ের আঁকা।
লেখক: প্রভাষক (ইতিহাস) তরণীরহাট ডিগ্রী কলেজ, গাবতলী, বগুড়া।