রূপসীর রূপনগর
দীপ দাশ নিশান
বাংলার সৌন্দর্য, এক অপরুপ লীলা,
চারদিকে রং মাখা সবুজের মেলা।
সকালের দোয়েল আর সন্ধ্যার পেঁচা,
ডেকে যায় কিচিরমিচির পথঘাট ফাঁকা।
নামাজের জায়নামাজ, মন্দিরের শাঁখ,
প্রার্থনা করি চলো ফেলে রেখে কাজ।
খুব ভোরে নতুন বউটি ফুল তুলতে যায়,
পা কেটেছে কোথাও তার কাঁদছে খুবি তাই।
সূর্যি মামা হেসে উঠে হয় সকালবেলা,
আদুল গায়ে বাচ্চারা করে ধুলা নিয়ে খেলা।
রোদমাখা দুপুরে তেজি সব জোয়ান,
হা ডু ডু খেলছে তারা বুকে ধরে প্রাণ।
নিশ্বাসে জেনো তাদের আগুনের তাপ,
একেই নাকি যৌবন বলে জীবনের ধাপ।
রায় বাড়ির কিশোরী আর জেলে পাড়ার ঝি,
জলে নেমে ডুব দিলো কেউ দেখেছো কি?
ডুব সাঁতারে ভেসে চলে হাতে রেখে হাত,
এই গ্রামে সুখী সবাই, খুঁজে না জাতপাত।
সন্ধ্যায় সূর্য নামে পশ্চিমের লালে,
লাল হলো কপাল আজ সিঁন্দুরের রঙে।
সারাদিনের কাজ সেরে মুর্দা ফেরে ঘরে,
আলতা পায়ে নীল সারিতে বউ বসে দুয়ারে।
গ্রামের মুরুব্বি আর সাথে পাড়ার ছেলে,
হাসি ঠাট্টাই মিলেমিশে তাস খেলা খেলে।
রাত্রি মাঝে ঝিঁ ঝিঁ ডাকে হাসনাহেনা ফুটে,
গ্রামের মোড়ল রোজরোজ জারি গানে মাতে।
বর্ষায় ছেলে বুড়ো টাকি-পুঁটি ধরে,
কাদাঁমাখা শরীরে ফিরে আসে ঘরে।
ভাত ডাল নুন খেয়ে তারা আছে বেশ,
রূপনগর সব গ্রাম নিয়েই রূপসী বাংলাদেশ।