মোবাইল মাদকের চেয়েও ভয়ংকর নেশা! আপনার স্নেহের সন্তানসহ আমাদের সবার জীবনের চরম ক্ষতি বয়ে এনে চলছে
- – লায়ন ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা
মোবাইল মাদকের চেয়েও ভয়ংকর নেশা। আজ যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে। সখের মোবাইল আপনার স্নেহের সন্তানসহ আমাদের সবার জীবনের চরম ক্ষতি বয়ে এনে চলছে তাই আসুন আমরা মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করি। ভয়ংকর ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচতে নিজে সচেতন হই এবং সচেতনতা সৃষ্টি করি।
প্রায় পরিবারে দেখা যায় শিশু বাচ্চাদের হাতেও মোবাইল। তারা মোবাইল ছাড়া খায় না, প্রায় সময় মোবাইল নিয়ে জিদ ধরে আর আমরা অমনি তাদের হাতে মোবাইল দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকি? এই সখের চাহিদা মেটাতে গিয়ে আপনার স্নেহের সন্তানের চোখের যে চরম ক্ষতি বয়ে আনছে তা পরবর্তী তে কোন চিকিৎসায় ভালো হবেনা,,,,, তাইতো প্রায় শিশুদের চোখে আজ চশমা। আসুন আমরা আজ থেকে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল কে না বলি।
যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা হতে পারে, হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দেগান বা কথা শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। গবেষকরা বলেছেন, মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।
ওরেব্রো ইউনিভার্সিটি অব সুইডেন এর গবেষক বলেন, প্রতি ২ মিনিট মোবাইল ফোন ব্যবহারে চৌম্বকীয় বিকিরণে দেহকোষ দুর্বল হশ, জেনেটিক ক্ষতি সংঘটিত হয় এবং ব্রেন তরঙ্গ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয় যা পরবর্তী এক ঘন্টা সময়েও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনা।
ফলে এলেক্সিয়া ( স্মৃতি শক্তি লোপ) রোগসহ ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, অটিজম, ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩০% বেড়ে যায়।
ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
গবেষকেরা বলছেন, মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা।
বেশী হাতের আঙুল সঞ্চালনার কারণে আঙুলসহ কাধ পর্যন্ত নিউরো সমস্যা হতে পারে যার চিকিৎসা ও কষ্টকর হয়ে পড়ে।
টয়লেট সিটের চেয়েও নোংরা
মার্কিন গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে ফোনে। মুঠোফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এটি জীবাণুর অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে।
স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেশায় এখন সবাই যেন পাগলপ্রায়। ছোট থেকে বড় কার নেই এ নেশা? তবে সম্প্রতি এক জরিপে জানা গেছে, বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের এ নেশা বেশি। গবেষকরা বলছেন প্রতি দুইজন তরুণের মধ্যে একজন এ নেশায় আক্রান্ত। তরুণরা অনেকেই সারাক্ষণ অনলাইনে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করে। আর এটি এক পর্যায়ে অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফেসবুকে পোস্ট করা কোনো ছবি বন্ধুবান্ধবরা লাইক করলো কিনা, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করা; আবার তারা হয়ত কোনো নতুন ছবি আপলোড দিলো কিনা সেটার জন্য অপেক্ষা ইত্যাদি ক্রমে নেশায় রূপ নেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেশার সঙ্গে অন্যান্য নেশার অনেক মিল আছে। দুই বিষয়কেই বিহেভিওরাল অ্যাডিকশন বা আচরণগত আসক্তি বলা হয়। কিন্তু অন্যান্য নেশা ছাড়া যতটা সহজ, অনলাইনের অভ্যাস ছাড়া তার চাইতে অনেক বেশি শক্ত। কেননা মিডিয়া তো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এ থেকে বের হয়ে গেলেও আপনি নানাভাবে নিজেকে আবার এর ভেতরে আবিষ্কার করবেন। যারা প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের নেশার মধ্যে বাস করছেন, তারা বেশ কিছু ঝুঁকিতে পড়েছেন। আর এ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, মাইগ্রেশন, কাজকর্ম ও পড়ালেখায় অমনোযোগ, বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যা প্রবণতার মতো মারাত্মক বিষয়।
এছাড়াও অসংখ্য ক্ষতি রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবেনা। তাই বলে কি আমরা মোবাইল ব্যবহার করবো না? অবশ্যই করবো? অপব্যবহার না করে শুধু প্রয়োজনে ব্যবহার করলে আমরা সকলে অসংখ্য রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। তাই আসুন শুধু প্রয়োজনে ব্যবহার করি এবং অহেতুক গ্রেম খেলা, ফেসবুক, চেটিং, নেট ঘাটা কমিয়ে নিজে সুস্থ থাকি এবং অপরকে সুস্থ রাখি।
চোখের যত্নে আমরা চোখের যোগ করি এবং বিধিনিষেধ মেনে চলি। চোখ কে সুস্থ রাখতে সচেষ্ট হয়। চশমা কে না বলি। চোখের যত্নে আর নয় অবহেলা। চোখের সমস্যায় বিস্তারিত জানতে ০১৭১২-২৭৬৭৫৩