একটি জরুরী হুঁশিয়ারী বার্তা
***************************
যারা মাদরাসায় না পড়ে বা যোগ্য উস্তাযের নিকট যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইলম অর্জন না করে নিজে নিজে স্ট্যাডি করে আলেম (?) হন, তারা “নীমে মোল্লা” বা “আধা আলেম” হয়ে থাকেন। তারা কিছুতেই পরিপূর্ণ আলেম হতে পারেন না বা দ্বীনের মূলনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে অনেক কিছুই তাদের অজানা থেকে যায়।
তাই তো তারা যতই তুখোর বক্তা বা জনপ্রিয় লেকচারার হোন, তারা বক্তৃতা ও লেকচারে ইসলামের মূলনীতি ও সীমারেখা যথার্থভাবে বজায় রাখতে পারেন না। কিংবা বলা যায়, কোন বিষয়ের ইলম সম্যকরূপে হাসিল করতে না পারায় মানুষকে সে ব্যাপারে নিজের থেকে মনগড়া কিছু বলে ভুল মেসেজ দিয়ে দেন। যদ্দরুণ সে ব্যাপারে তার বক্তব্য সমাজে বিভ্রান্তি ও বিভক্তির ফেতনা ছড়ায়।
অতএব, এ ধরনের বক্তা বা লেকচারারের ব্যাপারে মুসলমানদের সাবধান থাকতে হবে। অন্যথায় দ্বীনের মৌলিক ব্যাপারে ভুল বিশ্বাস পোষণ করার দ্বারা তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ জন্য এ ব্যাপারে সতর্ক করে সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে–
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيْرِيْنَ ، قَالَ : ” إِنَّ هذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ ، فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ
হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরীন (র.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন–“নিশ্চয়ই এই ইলম হচ্ছে দ্বীন। সুতরাং তোমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করো যে, কার থেকে তোমাদের দ্বীনকে গ্রহণ করছো।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪)
তেমনিভাবে এ ব্যাপারে সাবধান করে হযরত ইমাম আওযায়ী (র.) বলেন–
اِتَّقُو اللهَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِيْنَ وَاقْبَلُوْا نُصْحَ النَّاصِحِيْنَ وَعِظَةَ الْوَاعِظِيْنَ وَاعْلَمُوْا أَنَّ هذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ، فَانْظُرُوْا مَا تَصْنَعُوْنَ، وَعَنْ مَّنْ تَأْخُذُوْنَ، وَبِمَنْ تَقْتَدُوْنَ، وَمَنْ عَلى دِيْنِكُمْ تَأْمَنُوْنَ
“হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর তাক্বওয়া হাসিল করো এবং কল্যাণকামীদের কল্যাণকামিতা ও নসীহতকারীদের নসীহতকে গ্রহণ করো। আর তোমরা জেনে রাখো যে, এ ইলম হলো দ্বীন। সুতরাং তোমরা ভালভাবে লক্ষ্য করো যে, তোমরা কী করছো এবং কার থেকে ইলম গ্রহণ করছো, তোমরা কার অনুসরণ করছো এবং তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কার উপর আস্থা পোষণ করছো!”
(তারীকে দামেশক, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৩৬১ পৃষ্ঠা)
.
——————————————————
বি. দ্র. এ ধরনের বক্তা বা লেকচারারদেরকে সনাক্ত করে তাদের সম্পর্কে মুহাক্কিক আলেমগণ বিশদভাবে দলীল-প্রমাণ দিয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন। এ ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানদের Φকোন ব্যক্তি-বিশেষের প্রতি অন্ধ ভক্তি-বিশ্বাসের পথ পরিহার করে জুমহুর মুহাক্কিক আলেমগণের পথনির্দেশনা মেনে চলা কর্তব্য।
.