মহেশপুরে সরকারি স্কুলের খেলার মাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দিলেন প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম।
এম.মাসুম আজাদ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের পলিয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি ভুট্টা শুকানোর জন্য গত কয়েক বছর ধরে সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দিয়ে আসছেন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম।
অভিযোগ উঠেছে, প্রতি বছর ছাত্র ছাত্রীদের খেলার মাঠটি কিছু ক্ষমতা শালী ব্যাক্তিদের নিয়ে প্রধান শিক্ষক টাকা গুলো আত্মসাৎ করে আসছে। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, ভুট্টা ব্যবসায়ী পলিয়ানপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল গনি, মফিজুল হক, শাহিন আলম, রাজ্জাক দপ্তরি, কাশেম গাইন,ও আব্দুল হামিদ তারা সবাই মিলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় এক মাসের জন্যে ইজারা নিয়েছেন। সরকারি স্কুলের খেলার মাঠ ইজারা দেবার বিষয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সাথে, তিনি জানান প্রতিবছর এই মাঠটি ইজারা দিয়ে কিছু টাকা পয়সা হলে সেই টাকা দিয়ে হাফেজিয়া খানায় দেওয়া হয়, এবারো কিছু ব্যবসায়ীরা আমার কাছে এসেছিলেন, আমি তাদের লিখিত কোনো অনুমতি দেইনি তবে মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়ে বলেছি তোমরা যদি সভাপতিকে ম্যানেজ করে করতে পারো তবে আমার কোনো আপত্তি নেই।
এদিকে পলিয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহাবুদুর রহমান উজ্জ্বল সাংবাদিকদের জানান, স্কুলের বাচ্চাদের খেলার মাঠ ইজারা দেবার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না,আমার সাথে কারো কোনো কথা হয়নি,আর স্কুলের মাঠ কোনো ভাবেই ইজারা দেওয়া যাবে না, আমি মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অনতিবিলম্বে খেলার মাঠটি অবমুক্ত করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই বিষয়ে কথা হয় মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো:ইশতিয়াক খন্দকারের সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আর খেলার মাঠ থেকে ভুট্টা সরিয়ে নেবার কথাও বলা হয়েছে।
আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে যদি প্রধান শিক্ষকের কোনো ধরনের যোগসূত্র পাই তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি স্কুলের মাঠ ব্যবসায়ীদের নিকট ইজারা দেবার বিষয়ে কথা বলতে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশকে একাধিক বার মোবাইল ফোনে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই।