এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এগুচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে পিছিয়ে থাকবে কেনো মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও। প্রতিনিয়ত তারা প্রমাণ দিচ্ছেন নিজেদের প্রতিভার। বুঝিয়ে দিচ্ছেন শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিই মাদরাসায় পড়েননা। পড়েন সকল শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর মানুষ।মোল্লার দৌড় এখন আর শুধু মসজিদ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নেই। তারা এখন দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হওয়ারও গৌরব অর্জন করছেন প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাদ ইবনে আহমাদ। তিনি তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এবার উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১৬ জন।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার মোট ৬টি কেন্দ্রে (বুটেক্স ক্যাম্পাস, ঢাকা সিটি কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মোহাম্মদপুর গভ. কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ) এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৬০০ আসনের বিপরীতে ১৪ হাজার ৯৭৭ জন পরীক্ষার্থী এবারের ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। প্রতিটি আসনের জন্য প্রায় ২৭ জন শিক্ষার্থী লড়াই করেছে।
সংশোধিত ফলাফলে প্রথম হওয়ায় সাদ তার ফেসবুকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্। বুটেক্সের রেজাল্ট স্থগিতের পর অনেকেই সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। কিন্তু আমি নিরাশ হইনি। জানি মালিক আমার জন্য আরো ভালো কিছু রেখেছেন। সেটা আমি এখন বুঝি। আল্লাহর রহমতে সংশোধিত রেজাল্টে বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি। গতকাল প্রকাশিত ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২৬তম হয়েছি। যারা সাপোর্ট দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন ও দোয়া করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। সামনের বুয়েট পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন।
গত বুধবার বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর মেইল ও টেলিগ্রামে বেশ কিছু আপত্তি আসে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারই সে ফল স্থগিত করে। ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।