শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
বাৎসরিক আনন্দ ভ্রমণে কক্সবাজার গেলেন পাংশা প্রেসক্লাবের সদস্যরা মিঠাপুকুরে শাড়ী পেচিয়ে এক মহিলার আত্ম হত্যা পাংশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত মৃত্যুর আগে ওয়াশরুম থেকে কবি হেলাল হাফিজের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ অনন্তলোকের চিরন্তন সফরে কবি হেলাল হাফিজ পাংশায় পুলিশকে দেখে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালানো আসামী গ্রেফতার ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমীর হামযা আশা জাগিয়ে রাখি পাংশায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো ৪টি ঘর খোকসায় আ.লীগ নেতাদের ছাড়াতে বিএনপির হাইব্রীড নেতাদের তদবিরে জনমনে প্রশ্ন  খোকসায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক, ছাড়িয়ে নিতে কৃষকদল নেতার তদবীর রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত কবি রফিকুল্লাহ কালবী : সাক্ষাৎকার পাংশায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী, কেক কাটা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ বৈঠকে আমীরে জামায়াত
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫৮০ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২, ৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস রবিবার (১০ এপ্রিল)। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের জন্মদিনে পৃথিবীব্যাপী এই দিবসটি পালন করা হয়। ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাপী হোমিওপ্যাথি দিবস পালন শুরু হলেও বাংলাদেশে হচ্ছে ২০১৪ থেকে।

জানা গেছে, বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান ১৭৯৬ সালে ‘হোমিওপ্যাথি’ নামক একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন। হ্যানিম্যানই প্রথম বলেন, ভেষজ বস্তুকে ওষুধ হতে হবে তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার গুণে।

সাধারণ ভেষজ গুণাবলি থাকলেই কোনো বস্তু ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত হবে না, যতোক্ষণ না তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো হয়।একটি বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন তা সুস্থ মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে এবং তার ঔষধি গুণাবলির প্রকাশ দেখা যাবে, তখন তাকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এভাবে কোনো বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডাইনামাইজেশন বা পোটেন্টাইজেশন। হোমিওপ্যাথিতে ওষুধ হচ্ছে শক্তির আধার। কোনো ওষুধ বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন শক্তিকরণ করা হবে, তখন তা ওষুধে রূপান্তরিত হবে। এ ওষুধ যখন রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হবে, তখন তা আরোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এভাবে যেভাবে অনেক  ভেষজ, প্রাণীজ ও ধাতব থেকে ওষূধ হচ্ছে আবার এগুলো ছাড়াও সাধারন ভেষজ গুণাবলিহীন বস্তুও হোমিওপ্যাথিতে ওষুধে রূপান্তরিত হয়ে রোগীর জন্য আরোগ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ অ্যালোপ্যাথিক ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ বললেও ক্ষেত্র বিশেষ তারা ব্যার্থ  হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে হোমিওপ্যাথিও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারছে। তবে  আমাদের দেশীয় ওষুধ শিল্পে বিপ্লব চলমান রয়েছে। দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদন হয় এবং বিশ্বের প্রায় ১১৩টি দেশে রফতানি হয়। এতো কিছুর পরও দেশে প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাপদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার উপরে এবং আন্তর্জাতিক বাজার ৬৫০ কোটি টাকারও বেশি। এ খাতে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ৯ শতাংশের উপরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বর্তমানে সরকারি তালিকাভুক্ত ২৬৯টিরও বেশি ছোট-বড় ওষুধ কারখানা রয়েছে। যারা দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রফতানি করে আসছে। এর মধ্যে জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যালোপ্যাথিক ৯০০টি, ইউনানি ২৬৮টি, আয়ুর্বেদিক ২০১টি, হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমি ৭৯টি এবং হারবালের নয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অর্থাৎ অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য চিকিৎসাপদ্ধতিরও প্রসার বাড়ছে।

এই চিকিৎসাপদ্ধতির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের অনেক মানুষ এখনও দরিদ্র। বিভিন্ন রোগ, যেমন- কিডনির সমস্যা দূর করতে সর্বশেষ পদ্ধতি অপারেশনের মাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা। যা অনেক ব্যয়বহুল। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে তা দূর করা সম্ভব হয়েছে। এই চিকিৎসার খরচও খুব কম। সব মিলিয়ে দেশের এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী মূলত অ্যালোপ্যাথি বাদ দিয়ে হোমিওপ্যাথিসহ অন্যান্য চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। আর চিকিৎসকদের মতে, রোগী চিকিৎসা নিয়ে মানসিকভাবে সন্তুষ্ট থাকলে রোগমুক্তির পথ অত্যন্ত সহজ হয়। শুধুমাত্র কম খরচের দরুণ এই চিকিৎসা নিয়ে মানসিক প্রশান্তির মাধ্যমে রোগমুক্তি হচ্ছে।

এছাড়া মানুষের গোপনাঙ্গের সমস্যা বা যৌন সমস্যা দূরীকরণে হোমিওপ্যাথি ও হারবাল-ইউনানির সাফল্য অ্যালোপ্যাথির চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তির কথা উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, যৌন সমস্যার বেশিরভাগই মানসিক সমস্যা। এক্ষেত্রে রোগীরা লজ্জাবোধ করে চিকিৎসকদের কাছে আসতে চান না। তারা হয় নিজে জেনে ওষুধ কিনে খান বা এসব হোমিওপ্যাথি ও হারবাল-ইউনানি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়।

দিবসটি পালনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং সারাদেশের হোমিও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো কেক কাটা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর