বিভেদ করো ক্যানো?
খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন
শোনেন কাকা প্রদীপ বাবু শোনেন দাদা কীরণ
এক সাথে রই মিলে-মিশে বসেন একটু জিরোন।
রাতটা যখন পোহায় ভোরে ডাকে মুয়াজ্জিন
তোমার-আমার সূর্য একই এক রকমই দিন।
ধর্ম-জাতে ভিন্ন আছে ভাষায় কিন্তু ভিন না
এক মাটিতেই জন্ম সবার কিসের তবে ঘিন্না?
তোমার বাড়ীর মুরগী ছানা ইঁদুর-বিড়াল পাখি
আমার বাড়ীর ঘর দরজায় ঘোরেই থাকি থাকি।
আমারগুলোও যায়
দেখো আমার গরুর বাছুর
তোমার গোড়ায় খায়!
নাই ভেনোভাব তাদের
তোমার ছেলের নাম হরিচাঁদ
আমার ছেলে কাদের।
এই এখানে তুমি আমি একই মাঠে খাটি
ফসল ফলে সবার ক্ষেতেই সমান পরিপাটি।
বিভেদ তবে কিসে?
এসব ভেবে মাঝে মাঝে
হারাই আমি দিশে।
দেখুন দাদা, তোমার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে
আমিও যাই, পাশের বাড়ী মনটাতো খুব টানে।
মুখে মুখেই মিল ভাবো কী প্রেমের বাঁধন নেই?
ইচ্ছে করে তোমার দীদার শবটি কাঁধে নেই।
তোমারও কী ইচ্ছে করে ভোর বেলা খুব ভোরে
মুয়াজ্জিনের মতই ডাকি খুব জোড়ে খুব জোড়ে?
আহ কতসুখ জানো?
তুমি-আমি পাশা-পাশি গাই কত সুর, গানও।
কিন্তু বিভেদ কারা করে?
দেই পাহারা আমরা সবে তোমার মূর্তিঘরে।
তোমরা করো পুঁজো
সুযোগ পেলে নাড়ু-মুড়ির পাঠাও আমায় ভুজো।
খাই তা খুশি মনে
তোমার-আমার বিভেদ কিসে ভাবছি ক্ষণে ক্ষণে।