বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। (ফাইল ছবি) |
বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কাদার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেন বলে আজ রোববার (১৭ মার্চ) জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। আবেদনের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কিছু জানায়নি।
ওই আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। এর আগেও খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে কয়েক বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। সবশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তবে প্রতিবারই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে দেয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক বার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। টানা কয়েক মাস চিকিৎসাও নিয়েছেন। বিদেশ থেকে চিকিৎস এনেও তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। তার চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া না মেলায় তা হচ্ছে না। |