আজি আষাঢ় গগনে অবিরাম বারিধারা ঝড়ছে।
দিনভর বাদলে মাঠ-ঘাট কানায় কানায় ভরছে।
কৃষকের সোনালী আঁশ হাটু জলে ডুবছে।
বাদলা হাওয়ায় বাবুই বাসা তাল শাখেতে দুলছে।
আঙ্গিনার কড়াই শাখে বাদুর পাখি জবুথবু ঝুলছে।
বাদল দিনে দীঘির জলে হংসগুলো জল কেলিতে মাতছে।
সন্ধ্যা বেলা পথ হারিয়ে দীঘির পাড়ে বকের ছানা কাঁদছে।
একলা পেয়ে কাক পাখিরা, বক ছানারে মাথায় ঠোকর কাটছে।
বাদল রাতে জোনাকিদের আলোর মেলা ভীষণ শোভা পাচ্ছে।
দীঘির পাড়ে হিজল গাছে ভূতুম পেঁচা অলস বসে ভাবছে।
ঘরের পাশে তমাল ডালে কাল পেঁচা ক্ষণে ক্ষণে ডাকছে।
সন্ধ্যা ক্ষণে পল্লী মায়ের সরল হৃদয় দুরু দুরু কাঁপছে।
তাঁর রুগ্ন ছেলের পেটের পিড়া ধীরে ধীরে বাড়ছে।
অজানা কোন শঙ্কা যেন মা’য়ের বুকে পাথরসম লাগছে।
দুঃখীনি মা খোদার তরে মানত করে রাত্রিভর জাগছে।
রোজা রেখে, নামাজ পড়ে, দু’হাত তুলে আঁখি জলে ভাসছে।
বাছা তাঁর সেরে উঠুক, ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটুক।
রোগ, বাদল যাক টুটে, মায়ের হাসি উঠুক ফুটে।