বাংলার রুপ
ফরিদ সাইদ
গ্রীষ্মকালে সারা দেশে ঝড়-তুফানের খেলা
পুকুর-ডোবা শুকিয়ে যায় গরম সারা বেলা।
গাছে-গাছে আম-কাঠালের মধুর সুবাস কতো
নতুন জামাই দাওয়াত করেন যে যার মনের মতো।
বর্ষাকালে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকে
বৃষ্টি নামে অঝোর ধারায় কোলাব্যাংএ ডাকে।
প্রকৃতিতে ফিরে আসে সেই চেনাজানা রুপ
খোকা-খুকির মনটা নাচে বলে না কথা চুপ।
শরৎকালে রোদ্র-ছায়ার লুকোচুরি খেলা
নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা ।
ধানের খেতে শীতল বাতাস নানান ফুলের হাসি
আশায়-আশায় বুক বেঁধে রয় গাঁও-গেরামের চাষি।
হেমন্তে বয় আসমানী সুখ নতুন ধানের ঘ্রাণে
শক্তি সাহস জেগে ওঠে সকল প্রাণে-প্রাণে।
মাঠে-মাঠে শর্ষে ফুলে ছড়ায় রঙের আলো
সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখে মন হয়ে যায় ভালো।
শ্বেত কুয়াশার চাদর মুড়ে আসে শীতল ঋতু
গরিব-দুখী শীতের ভয়ে থাকেন তারা ভীতু।
কেউ বা বানান পিঠা-পুলি সাধ্য মতো ঘরে
ফসল-ফলে সুখের ছোঁয়ায় মনটা সবার ভরে।
বসন্তটা রাজার বেশে দোলে মনে-মনে
কৃষ্ণচুড়া ফুলের শোভা ভাসে চোখের কোণে।
এই আমাদের সোনার বাংলা রুপে-গুণে খাঁটি
প্রাণের চেয়ে প্রিয় স্বদেশ আমার দেশের মাটি।