রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
বাৎসরিক আনন্দ ভ্রমণে কক্সবাজার গেলেন পাংশা প্রেসক্লাবের সদস্যরা মিঠাপুকুরে শাড়ী পেচিয়ে এক মহিলার আত্ম হত্যা পাংশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত মৃত্যুর আগে ওয়াশরুম থেকে কবি হেলাল হাফিজের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ অনন্তলোকের চিরন্তন সফরে কবি হেলাল হাফিজ পাংশায় পুলিশকে দেখে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালানো আসামী গ্রেফতার ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমীর হামযা আশা জাগিয়ে রাখি পাংশায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো ৪টি ঘর খোকসায় আ.লীগ নেতাদের ছাড়াতে বিএনপির হাইব্রীড নেতাদের তদবিরে জনমনে প্রশ্ন  খোকসায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক, ছাড়িয়ে নিতে কৃষকদল নেতার তদবীর রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত কবি রফিকুল্লাহ কালবী : সাক্ষাৎকার পাংশায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী, কেক কাটা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ বৈঠকে আমীরে জামায়াত
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

প্রাণের স্পন্দন; স্মৃতিতে ডাঁশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মনিরুল হক / ৬২৪ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

প্রাণের স্পন্দন; স্মৃতিতে ডাঁশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
—————-মনিরুল হক-————–
প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছেই তার হাইস্কুল জীবন খুব প্রিয় একটি সময়কাল। তেমনি আমার কাছেও প্রিয় আমার হাইস্কুল “ডাঁশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়”। এটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার অন্তর্গত এবং ১৯৬৬ সালে স্থাপিত। গতকাল ছোট ভাই সোহান হোয়াটসঅ্যাপে স্কুলের কিছু ছবি ও ভিডিও পাঠানোয় স্কুলের বর্তমান সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে লিখতে বসলাম। এই ভরা আষাঢ়ে চারিদিকে সবুজে ঘেরা আমাদের প্রানপ্রিয় স্কুলের রূপ-যৌবন দেখে মনে পড়ে গেল স্কুল জীবনে আমার প্রথম ক্রাশ, এক ক্লাস নিচে পড়া একটা মেয়ের কথা যার চোখের সৌন্দর্যের জন্য পাগল ছিলাম। স্কুলের এক অনুষ্ঠানে তাকে সবুজ শাড়ি পড়তে দেখেছিলাম। অনেক বছর পর স্কুল ফিল্ডের সবুজ ঘাসসহ স্কুলের সৌন্দর্য দেখে তার কথা মনে পড়ে গেল।
এত সবুজের মাঝেও স্কুলের গাছগুলোকে মিস করি ভীষণভাবে যেগুলো বেশকিছু বছর পূর্বেই হয়তো স্কুলের প্রয়োজনে কেটে ফেলা হয়েছে। মিস করি বছরের পর বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের প্রেমের স্বাক্ষী বিজ্ঞান ভবনের সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছটি যা আর এখন নেই।“স্কুল মানেই বুকের পাঁজরে একরাশ স্মৃতি,
প্রথম ভাললাগা আর প্রথম পাওয়া চিঠি।
মনের লকারে রেখে দিয়েছি সব যত্ন করে,
স্কুল জীবনের প্রথম প্রেম; ভুলি কেমন করে? “প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনেই তার স্কুল একটি মধুময় জায়গা। তবে একজন শিক্ষার্থী যখন স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় থাকে তখন স্কুল তার কাছে একটি প্যারাদায়ক ব্যাপার হলেও যখন স্কুল থেকে বের হয়ে যায়, তখন সেই ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলকে অনেক মিস করতে থাকে। এটা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটে থাকে কমবেশি। স্কুলের দিনগুলোতে অর্থাৎ স্কুলের ক্লাসে এবং খেলার মাঠে যে সকল দিন কাটিয়েছি সেগুলো কখনোই ভোলার নয়। কারণ এখানে বন্ধুত্ব যেমন ছিল নির্ভেজাল তেমনি এখানকার মানুষ গুলো মানে স্যারেরা ছিলেন আদর্শবান মানুষ।

ডাঁশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খেলাধুলা করছে ছাত্ররা

প্রত্যেকটি শিক্ষকের বকাঝকা একটা সময়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রী মিস করতে থাকে। তখন মনে হতে থাকে শিক্ষকদের সেই সকল বকাঝকা তাদের বর্তমান জীবনে গন্তব্যগুলো নিশ্চিত করেছে। স্কুল জীবন ছিল বলেই তাদের এত সুন্দর একটা মধুর স্মৃতি রয়েছে। এখনো অলস দুপুরে আনমনা হয়ে খুঁজে ফিরি আলিম স্যার, আলতাফ স্যার, প্রষন্ন কুমার স্যারকে। হয়তো উনারা ওপারে ভাল আছেন। কোনপ্রকার জ্যামিতি সামনে পড়লেই গোলাম সরোয়ার স্যারের জ্যামিতি বুঝানো এখনো মনে পড়ে। এখনো ভুলি নাই শফি স্যারের উক্তি “অতিরিক্ত কোনো কিছুই কিন্তু ভালনা”। শাহজাহান স্যার ছিলেন অঙ্কের জাহাজ, উনার কাছে শুধু অধ্যায় ও অংক নাম্বার বললেই বোর্ডে কষতে শুরু করতেন, কোনো বই লাগত না, যা আমাদের বিস্মিত করত। যেহেতু স্কুল থেকে আমাদের প্রধান ভিত্তি গড়ে ওঠে সেহেতু আমরা স্কুলকে কখনোই ভুলি না এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্কুলকে মিস করতে থাকি। খুব মিস করি, এক টাকা দিয়ে চারটা চকলেট কিনে খাওয়া বন্ধুগুলোকে। যাদের ছাড়া প্রতিটা মুহুর্ত কল্পনাহীন ছিল, যদিও দিনশেষে আমরা সবাই সবার মত হয়ে যায়।

বন্ধুদের সাথে মান অভিমান, রাগ অনুরাগ থাকাটা অসম্ভব কিছু না। স্কুল জীবনে সেই মান অভিমান, ঝগড়া আর মারামারি গুলোকে খুব মিস করি। রাজকুমার স্যারের ইংরেজি গ্রামারে মার খাওয়ার ভয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাহিরে কাটানো সময় গুলোকে খুব মিস করি। পানি খাওয়ার কথা বলে হুজুর স্যারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে প্রাইমারি স্কুল এবং মাদ্রাসা ঘুরে আসার সময় গুলোকে খুব মিস করি।

মনে পড়ে, স্কুল লাইফের সেই বৃহস্পতিবার এর অপেক্ষার কথা। যার অপেক্ষায় পাঁচ দিন বসে থাকতাম, কারণ বৃহস্পতিবার হাফ ক্লাস এবং পরে একদিন বন্ধ পাওয়া যেত। দশম শ্রেণীতে বৃহস্পতিবার চতুর্থ পিরিয়ডে বি.এস.সি স্যারের (আবুল হোসেন) পদার্থ ক্লাসে ছুটির ঘন্টার অপেক্ষায় আনমনা হয়ে বসে থাকা এখনো মনে পড়ে। এখন বৃহস্পতিবার আছে ছুটি আছে ঠিকই কিন্তু আগের মত সেই অনুভূতিগুলো আর নেই।

স্কুল জীবনের সবথেকে কষ্টের দিন এস.এস.সি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠানের দিন। সেদিন বন্ধুদের বিদায় জানাতে অনেক কষ্ট হয় কারন এটা ভেবে অনেকের সাথেই পরবর্তীতে আর কোনদিন যোগাযোগ হবেনা। অপরদিকে স্যারদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যগুলো জীবনে চলার পথের পাথেয় হিসেবে গ্রহনকরে চলে আসতে হয় স্কুল থেকে চোখ মুছতে মুছতে। যা প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীর জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক।

“হাইস্কুল জীবনের শেষদিন; মৃত্যুজালা।
অশ্র সিক্ত নয়নে জানিয়েছি, বিদায়।
বুকে পাথর চেপে মুখে হাসি রেখে
তবুও বলেছি মনে মনে ,
এ দেখাই শেষ দেখা নয়!
চলে যাওয়া রাস্তায় লিখে ছিলাম
বিদায় সবুজ ঘাসের রঙে ঘেরা, প্রিয় স্কুল।
ডেকে যায় নীল এ আকাশ,
বিষাদে ভরা স্নিগ্ধ বাতাস।
যে ঘাসে মেখেছি আলো,
পেছনের বেঞ্চে ফেলে আসা ধুলো জমা
সেই স্মৃতিই আজ কতনা মিষ্টি মধুর!
মনে পড়লেই কেন লাগে এত ভালো?”

স্কুল ছেড়ে চলে আসার অনেক বছর পর, কোনএক কর্মব্যস্ততাময় জীবনের একফাঁকে হঠাৎ যদি মনে পড়ে স্কুলের কথা, মনে পড়ে যায় যদি প্রথম প্রেমের কথা, নিশ্চিত হয়তো সবারই আবার ফিরে যেতে ইচ্ছা করবে প্রানপ্রিয় স্কুল জীবনে। টাইম মেশিনে চড়ে আমরা যদি ফিরে যেতে পারতাম অতীতে বেশিরভাগ মানুষই ফিরে যেত তার স্কুল জীবনে, বিশেষকরে হাইস্কুল জীবনে।

“যদি কখনো ফিরে আসে
স্কুলের স্বর্ণালী দিনগুলি।
যেতাম ছুটে, রইতাম বসে
নাওয়া-খাওয়া ভূলি।”

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর