মোহাঃ রেজাউল হোসেন
সেই দিন গুলো যে কোথায় আজি,
নেই আর হৈহৈ রৈরৈ,
চৈত্রের খরতাপেও পাড়ায় পাড়ায়,
ঘুরেছি মাভৈ মাভৈ।
বিকাল হলেই পদ্মার নির্মল জলে,
দলেদলে চলতো গোসল,
দুটি চোখ লাল করে ফিরলে বাড়ি,
মায়ের ছিল বকুনির দখল।
বৈশাখ আর জৈষ্ঠ মাসে দিন-রাত,
বইতো মৃদ-মন্দ বাতাস,
বাবা মায়ের চোখ ফাঁকিতেই হতো,
ঘুড়ি তৈরির হিসাব-নিকাশ।
গাছতলা,বাঁশতলা,বটতলা চলতো,
সদায় মার্বেল খেলা,
খেলায় হার-জিত নিয়ে হট্রোগোল,
লাগতো সারাবেলা।
রাতের বেলা জোৎস্নার আলোতে,
হতো গোল্লাছুট খেলা,
ধুলা-বালি অঙ্গে মেখে পার হতো,
কত রাত্রি,নিশি বেলা।
সকাল,দুপুর,সন্ধ্যায় হতো কুতকুত,
দাঁড়িয়াবান্ধ খেলা,
সংসার নাটকের মতো জোলাপাতি,
খেলায় যেত বেলা
গাছে গাছে গুলতি দিয়েই চলতো,
পাখি শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা,
লাটিম খেলার সে প্রতিযোগীতায়,
শরীর ঘেমে লাগতো তেষ্টা।
মাঠে-ঘাটে রাখাল গরুর পাল রেখে,
খেলতো গুলবাড়ি,
বালোক-বালিকা খেলতো কানামাছি
ভোঁভোঁ বাড়িবাড়ি।
খেলা-ধুলো যে জুমতো,শালুক দিঘি,
পুকুর পার অশ্বথতলা,
মনে পড়ে স্কুলে,ঝুকে সামনে পিছনে,
নামতা পড়ার পালা।
স্মৃতি পাতায় ভাসে আজ,আম,জাম,
পেয়ারা চুরির কথা,
খেলতে গিয়ে কতোবার যে পেয়েছি,
হাত-পা ভাঙ্গার ব্যাথা।
কোথা গেল সোনার বাটি,রুপোর বাটি,
রাজা রাণীর কেচ্ছা,
কেউ পারবে বাতলে দিতে,পাখির মত,
উড়ার পদ্ধতি আচ্ছা?