স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদপুর শহর।এখানে রয়েছে ইতিহাসের উজ্জ্বল অনেক নিদর্শন।গর্বভরে স্মরণ ও শ্রদ্ধা করার মতও রয়েছে অনেক ইতিহাস।সেই শহরটিই এখন কলুষিত হচ্ছে নানাবিধ পাপাচারে। পতিতাবৃত্তিকে জড়িয়ে গড়ে উঠেছে শহরের আনাচে কানাচে হোটেল বানিজ্য। ফরিদপুর থেকে ঘুরে এসে জানাচ্ছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক।
ফরিদপুর শহরের বেশ কিছু চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহ ব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ । এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসেবেই চলছে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে। তবে প্রশাসন বলছে তেমন কোন তথ্যই নেই তাদের কাছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুরের হাতে গোনা কয়েকটি আবাসিক হোটেল বাদে প্রায় সবগুলি হোটেলেই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।
শুধু ফরিদপুর আবাসিক হোটেলই নয় এই দেহ ব্যবসা চলছে গোপনে শহরের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসাতেও।অসাধু শ্রেণীর ক্ষমতাশীনদের সহায়তায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কৌশলে চালাচ্ছে এই ব্যবসা। আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় কাটাতে খদ্দেরকে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। আর রাত কাটাতে হলেতো কথাই নেই, সেখানে গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে। ফরিদপুরে বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতিতালয়। এ ব্যাপারে শহরের আলোচিত একটি হোটেল মালিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তাদের এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকের উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। ফরিদপুরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গুলোতে তরুণ ও উঠতি বয়সের ছেলেদের আড্ডা ও আনাগোনা লক্ষ করা যায়। এই সব হোটেল গুলোতে কলগার্ল ও দেহ ব্যবসায়ী নারীদের অবস্থান থাকে। আর এই ব্যবসার নেপথ্যে বিশেষ কৌশলে গড়ে ওঠে ইয়াবা ও মাদকের ব্যবসা।
দিন দিন যুব সমাজ এই ফাঁদে পা দিয়ে অন্ধকার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে এই সকল আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রশাসন অভিযান চালালেও রাত পোহালেই আবার সেই আগের চিত্রেরই দেখা মেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের সামনেই এইসব চললেও প্রশাসন কিছু করছে না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালায়, উচ্ছেদ করার জন্য মূলত অভিযান চালায় না। সাধারণ সচেতন মানুষ এই ধরনের অপকর্ম থেকে ফরিদপুরকে মুক্ত করতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।