কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ ও র্যাব-১৪ সিপিসি-২,কর্তৃক খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ক্যামিকেল পাউডার ও রং মিশিয়ে ভেজাল সরিষার তৈল, আটা ও পোলাও চাল, আইসক্রিম ও মশার কয়েল তৈরীর অপরাধে মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স কে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান এবং বিপুল পরিমান ভেজাল পণ্য ধ্বংস করেছে।
র্যাব জানায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিছু অসৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেজাল খাদ্য তৈরীর ক্যামিকেল পাউডার ও রং মিশিয়ে ভেজাল সরিষার তৈল, আইসক্রিম, মশার কয়েল ও নকল আটা ও পোলাও চাল তৈরী করে তা বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা শিশু সহ সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত ভেজাল চক্রের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক এর সহায়তায় শনিবার ২৩ মার্চ দুপুর ০১টা থেকে বিকাল ০৪ টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানাধীন বাঁশহাটি এলাকায় দীর্ঘ ৩ ঘন্টা ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অনুমোদন ব্যাতীত ভেজাল সরিষার তৈল, নকল পোলাও চাল ও আটা, আইসক্রিম এবং মশার কয়েল তৈরী, পণ্যে যথাযথ মোড়ক ব্যবহার না করা ও বৈধ কোন কাগজ পত্র দেখাতে ব্যার্থ হওয়ার অপরাধে
মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স
এর মালিক মোঃ মাহবুবুল আলম’কে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করা হয় এবং ১৯৫০ বোতল ভেজাল সরিষার তৈল, ড্রামে রক্ষিত ৬০০ লিটার খোলা সরিষার তৈল, বড় দুই বস্তা খালী প্লাষ্টিকের বোতল, ১ বস্তা পোলাও চাল, নকল আইসক্রিম তৈরীর সরঞ্জাম, ৫০০ প্যাকেট মশার কয়েল, নকল আটা তৈরীর প্যাকেট ১০০টি এবং ভেজাল খাদ্য তৈরীর ক্যামিকেল পাউডার ও রং ধ্বংস করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব সংবাদ মাধ্যম কে জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক দীর্ঘদিন যাবৎ অনুমোদন ছাড়া ক্যামিকেল পাউডার ও রং মিশিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভেজাল খাদ্য তৈরী করে আসছিল বলে স্বীকার করে। বিভিন্ন ভেজাল পণ্য বাজারজাতকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষৎ এ অব্যাহত থাকবে।