পুলিশের টিয়ারশেয়ে আহত সিনিয়র সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
অবিভক্ত বিএফইউজে ও সিইউজের তুখোড় নেতা রফিক ভূঁইয়া গতকাল ২৮ অক্টোবর দুপুরের দিকে রাজধানীর মাদারটেকের বাসা থেকে রিক্সাযোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় সেগুন বাগিচা এলাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরনো ভবনের কাছে পৌঁছেলে পুলিশের টিয়ারগ্যাসের কবলে পড়ে রিক্সা উল্টে ছিটকে পড়েন তিনি। পরে বারডেম হাসপাতালে নিলে ডাক্তার জানান, মাথায় মারাত্মক আঘাতে ভেতরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
রফিক ভূঁইয়া সাংবাদিকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম থেকে। সেখানে দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি ছিলেন। এর পর ঢাকায় এসেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। নিজেও একাধিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন কানাডা প্রবাসী থাকাকালে সেখানেও সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রামে থাকাকালে রফিক ভূঁইয়া ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএফইউজের প্রথম কমিটিতে ছিলেন নির্বাহী সদস্য। চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ ডিইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী ও সিনিয়র সদস্য ছিলেন।
রফিক ভূঁইয়ার জামাতা জানিয়েছেন, তার লাশ সমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত দুই ছেলে দেশের পথে রয়েছেন। তারা ফেরার পর দাফন করা হবে।
রফিক ভূঁইয়ার জন্ম ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ১৯৫১ সালে। দুটি সংসারে ছেলে মেয়ে রয়েছে