বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার ছাত্রদল নেতা মীর্জা ও শিবির সভাপতি পারভেজ
ঝিনাইদহে ১১জন পুলিশ কর্মকতাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা।
এম.মাসুম আজাদ,ঝিনাইদহ
বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার ঝিনাইদহের ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জা ও শিবির সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের একটি আদালতে সাবেক এক পুলিশ সুপারসহ ১১ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন নিহত’র স্বজনরা। মামলায় ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন (চাকরীচ্যু), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল, সদর থানার সাবেক ওসি হাসান হাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি কামরুল ইসলাম, এসআই আমিনুর রহমান, এসআই বোরহানুল ইসলাম, এসআই শাহরিয়ার হাসান, এসআই আমিনুল ইসলাম, এসআই উজ্জল মৈত্র ও ডিবির ওয়াচার মুরাদকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুসহ দলের ১৭ শীর্ষ নেতাকে পারভেজ হত্যা মামলায় আসামী করেছে। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলা দুইটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করতে ঝিনাইদহ সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জাকে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঝিনাইদহ শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখে মীর্জার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা এলাকার পন্নাতলা মাঠে। হত্যার ৯ বছর পর তার বৃদ্ধা মা বুলবুলি খাতুন সে সময়কার সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, এসআই শাহরিয়ার হাসান ও এসআই আমিনুল ইসলামকে আসামী করেন। অন্যদিকে আরেক বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলাটি করেছেন তার পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ও আ’লীগের সন্ত্রাসীরা মিলিত ভাবে শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে ইবনুল ইসলাম পারভেজকে ২০১৬ সালের ১৬ জুন ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসে। তাকে চোখ মুখ বেধে অকথ্য নির্যাতন করে আসামীরা। এরপর অপহরণের ১৭ দিন পর ২০১৬ সালের ২ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়য়াকান্দি এলাকায় ইবনুল ইসলাম পারভেজের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তাকে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়।