চন্দ্রপাড়া দরবারের মাদরাসায় জাল সনদে প্রভাষক হয়েছেন ইফতেখার রসুল
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিবন্ধন সনদ জাল করে ২০২০ আবেদন করে ২০২১সালে ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক ইফতেখার রসুল। সে গোপালগঞ্জ জেলার কান্দিবালিয়ারি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। অবৈধ এই নিয়োগ বানিজ্যে কমপক্ষে ১৫লক্ষ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে।
ইতোমধ্যে ২০২১সাল থেকে বেতন ভাতার নামে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনও করেছেন তারা। এসব দেখার কেউ নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সিরাজ নগর গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম নামের একজন বেকার যুবক, সোনার হরিণ চাকুরীর জন্য ঘুরছিলেন দ্বারে দ্বারে। কোন এক অশুভ ক্ষণে পরিচয় ঘটে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার তথাকথিত দরবার শরীফ পরিচালিত চন্দ্রপাড়া সুলতানিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সাথে৷ তাকে প্রভাষক পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে চাকরী প্রত্যাশী যুবকের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নেয় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। আবেদনের কথা বলে নিয়ে নেন শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ। আরিফুল ইসলাম আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তার চাকরি হবে কিন্তু পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান তার কথা রাখেনি। এমনকি ফেরত দেয়নি তার টাকাও।
মোঃ আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ ভূমিকে জানান, আমি শিক্ষক নিবন্ধনে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে টিকেছিলাম। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আবেদন করতে গিয়ে দেখি আমার সনদটির রোল, রেজিষ্ট্রেশন দিয়ে অলরেডি ইনডেক্স হয়ে গেছে৷ পরবর্তীতে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে, ইফতেখার রসুল নামের এক ব্যক্তির নামে এই ইনডেক্সটি ( যার নম্বর m0008156) করা হয়েছে। সে চন্দ্রপাড়া ফাজিল মাদরাসাতেই চাকরি করছে। আরিফুল মাদরাসা অধিদপ্তরের নিকট আবেদন করেছেন তার নিবন্ধনের ইনডেক্স বাতিলের জন্য।
জালজালিয়াতিতে সিদ্ধহস্ত অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- ‘আমার কোন কার্যক্রম নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তাকে খবর করে ছাড়ি”-বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার অনেক ছাত্র এবং দরবারের ভক্তরা সাংবাদিকদের সায়েস্তা করবে। কিছুক্ষণ পরেই মোফাজ্জল হোসেন তুহিন নামের একজন অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের অনুসারী দাবী করে+8801911713061 এই নাম্বার থেকে কল করে বাংলাদেশ ভূমির প্রতিবেদককে নিউজ প্রকাশ না করার জন্য শাঁসিয়ে দেন।
আমরা ভূয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকুরী পাওয়া সেই ইফতেখার রসুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি কিন্তু তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।