মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ক্লাসে বিশ্বনবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল ফিরে দেখা’র উনযুগপূর্তি উৎসব পালিত জমকালো আয়োজনে ৭৬ তম আর্ন্তজাতিক ক্রেডিট ইউনিয়ন দিবস পালিত বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খোকসায় মুফতি ফয়জুল করীমের যাত্রা বিরতি পাংশায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা এইচ.এস.সিতে আসিফের অনন্য সাফল্য এইচ.এস.সিতে আসিফের অনন্য সাফল্য পাংশা পৌর সভায় মন্দির সমূহে নিরাপত্তায় কাজ করেছেন যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম ফরিদ পাংশায় র‌্যালী মহড়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় আপনাদের পাশে ছিলাম আছি থাকবো -হারুন অর-রশিদ হারুন পাংশায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু প্রধান উপদেষ্টার সাথে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক খোকসার ফুলবাড়ি গ্রামে সিরাজ সর্দার কর্তৃক রাসুল (সঃ) কে কটূক্তি স্বামীর পরোকিয়া জেনে ফেলাই  কাল হলো রুমা’র !
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার তারা মসজিদ

অনলাইন ডেস্ক / ৩৯৪ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২, ২:৪৬ অপরাহ্ন

পুরান ঢাকার হাজারো ঐতিহাসিক ইসলামী স্থাপনার মাঝে তারা মসজিদ অন্যতম।এই শহ‌রের য‌ত ঐতিহা‌সিক মস‌জিদ আছে তার বে‌শির ভাগই পুরান ঢ‌াকায় অব‌স্থিত।

তারা মসজিদ বর্তমান পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। ধবধবে শুভ্র মার্বেলের গম্বুজের ওপর নী্লাভ তা্রকা খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আনুমানিক আঠারো শতকের প্রথম দিকে।

মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা ছিল না। তবে ধারণা করা হয় ১৮ শতকের শুরুর দিকে তৎকালীন ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর তারা মসজিদ নির্মাণ করেন।তবে, মসজিদটি তৈরির পর ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে মির্জা গোলাম পীর মৃত্যুবরণ করেন।

ঝকঝকে এই মসজিদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। মোঘল স্থাপত্য কৌশলে নির্মিত মসজিদটি অনেকের কাছে সিতারা মসজিদ বা মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ নামে পরিচিত।

সতের শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত বিভিন্ন মোঘল স্থাপত্য শৈলী অনুসরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

কেন বলা হয় তারা মসজিদ?

দরজাগুলির মধ্যবর্তী ও বাইরের প্রাচীরটি গ্ল্যাজড টাইলসগুলিতে মাউন্ট ফুজির মোটিফ দিয়ে সজ্জিত এবং একটি ক্রিসেন্ট-ও-স্টার ডিজাইন দিয়ে সম্মুখের উপরের অংশটি সজ্জিত করা হয়েছে।

সাদা মার্বেলের গম্বুজগুলিতে কয়েকশ নীল তারা তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত মসজিদ জুড়ে, তারাগুলির মোটিফ সাজসজ্জার উপর প্রাধান্য দেয় এবং তাই মসজিদটিকে বলা হয় স্টার মসজিদ (বাংলায় তারা মসজিদ)।

মসজিদের প্রাথমিক আকার ও আকৃতিঃ 

যখন শুরু করা হয় তখন থেকেই মসজিটি আয়তাকার ছিল। মির্জা গোলাম পীর তৈরির আদি ও আসল মসজিদটির পরিমাপ ছিল দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট (১০.০৬ মিটার) এবং প্রস্থে ১২ ফুট (৪.০৪ মিটার), গম্বুজ ছিল সর্বসাকুল্যে তিনটি।

এর ভিতরে মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় ছিল। সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের উপর নীলরঙা তারার নকশা যুক্ত ছিল।এর পূর্ব দিকে মসজিদে প্রবেশর জন্য তিনটি এবং উত্তর দিকে ১টি এবং দক্ষিণ দিকে ১টি দরজা ছিল।

মসজিদের সংস্করণঃ 

১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। এই সময় মসজিদটির আকার বৃদ্ধি করা হয়। এই সময় এর পূর্বদিকে একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়।

এই সময় মসজিদের মেঝে মোজাইক করা হয়। চিনিটিকরি (Chinitikri) কৌশলের এই মোজাইক তৈরীতে ব্যবহার করা হয় জাপানী রঙিন চীনা মাটির টুকরা এবং রঙিন কাঁচের টুকরা।

১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদটির পুনরায় সংস্কার করা হয়। এই সময় পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা পাঁচটিতে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে মসজিদের জায়গা সম্প্রসারিত হয়।

মসজিদের বর্তমান আকারঃ

মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)। এছাড়া মসজিদের দেয়ালে ফুল, চাঁদ, তারা, আরবি ক্যালিওগ্রাফিক লিপি ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে।

কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকে ঢাকাতে আসতে হবে। ঢাকা শহরের যেকোন জায়গা থেকে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় আসতে হবে। এসে রিকশা দিয়ে সহজেই আরমানিটোলা যেতে পারবেন। চানখাঁরপুল থেকে তারা মসজিদে যেতে মাত্র ৩০ টাকার মত রিক্সা ভাড়া লাগতে পারে।

কাকরাইল মসজিদ – বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র (kakrail mosque – bangladesh)

কোথায় খাবেন

পুরান ঢাকার মুখোরোচক খাবারের জন্য রয়েছে দেশ জোড়া খ্যাতি। খাবারের জন্য পুরান ঢাকার রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য। আল রাজ্জাক, হাজীর বিরিয়ানি, কাশ্মির কাচ্চি, বিউটি বোডিং কিংবা সুলতানের চা থেকে নিঃসন্দেহে খাবারের আইটেম বেছে নিতে পারেন।ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখার পাশাপাশি রসনা বিলাশ হতে পারে আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া।

তারা মসজিদ (তারা মসজিদ) দেখার জন্য টিপস

নামাজের সময় মসজিদে বেড়াতে যাবেন না। মহিলাদের জন্য, মাথা হিজাব পড়ে মসজিদে প্রবেশ করা প্রয়োজন। এছাড়াও, পরিমিত পোশাক পরতে হবে। শর্টস পরে মসজিদে প্রবেশ করা নারী পুরুষ উভয়ের পক্ষে সম্ভব হবে না।

মসজিদটি সাধারণত নামাজের সময় বাইরে বন্ধ থাকে তবে আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন তবে মসজিদটির তত্ত্বাবধায়ক আপনাকে যে কোনও সময় দেখার জন্য এটি খুলবে।

ইসলামিক ব্লগ বিডি থেকে কপি করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর