চলমান লকডাউনে ঘরেই কাটাতে হচ্ছে অনেকটা সময়। ঘরের ভেতরের দূষিত বাতাস শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এছাড়াও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) জরিপে শীর্ষে আছে ঢাকা।
‘ক্লিন এয়ার ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত আর্টেমিস হাসপাতালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুবাহিত রোগের জন্য ঘরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ৩১ শতাংশ দায়ী। ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ থেকে হতে পারে অ্যালার্জি, হাঁপানি, রাইনাইটিস, ডিসোনিয়া, জটিল ফুসফুসের রোগসহ নানা রকম ব্যাধি।
কে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ায় সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
অন্যদিকে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঢাকায় ঘরের ভেতরে ও বাইরের বায়ু প্রায় সমানভাবে দূষিত। অনেকে ঘরে ধুলোবালি ঢুকবে ভেবে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। অথচ বাইরের পরিবেশ সম্পূর্ণ খোলামেলা বিধায় সেখানে বায়ুর মান অনেক সময় ঘরের ভেতরের চাইতেও ভালো থাকে। ঘরের ভেতর বদ্ধ পরিবেশে বসবাস করা একাধিক মানুষের শ্বাসক্রিয়ার ফলে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড, বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা বাড়ির ভেতরের বাতাসের গুণমান কমিয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে ঘরে জীবাণুমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে ঘরে লাগাতে পারেন এয়ার পিউরিফায়ার। এয়ার পিউরিফায়ারের মূল কাজ ঘরের ভেতরে থাকা অতি ক্ষুদ্র কণা, ক্ষতিকর গ্যাস ও জীবাণু শোধন করা। এর অ্যাক্টিভেটেড চারকোল (কয়লা) থাকায় অ্যামোনিয়ার মতো দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস দূর হয়।
থ্রি-ওয়ে এয়ার ফ্লো প্রযুক্তি থাকার ফলে খুব কম সময়ে স্বস্তিদায়ক বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে পিউরিফায়ারগুলো। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সর থাকায় খুব সহজেই ধূলিকণা ও গ্যাসসহ পিএম ২.৫ মাইক্রোমিটারের মতো অতি ক্ষুদ্র জীবাণু শনাক্ত করতে সক্ষম এগুলো। ডিজিটাল পিউরিফায়ারের ডিসপ্লের মাধ্যমে ঘরের ভেতরের বাতাসের মান সম্পর্কেও জানা যায়।