ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি# কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইয়ারুল ইসলাম। বয়সে তরুণ এই কর্মকর্তা একজন সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলার সকল মহলে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় তাকে নিয়ে মিথ্যা,বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করায় ওই পত্রিকা ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বমহলে।
কুষ্টিয়া জেলার ছোট্ট উপজেলা খোকসা । প্রায় এক লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার জনসংখ্যার এ উপজেলায় ১ টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত। এ উপজেলার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ ইয়ারুল ইসলাম। সম্প্রতি তাকে নিয়ে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, তিনি বিগত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ২য় বারের মত এ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। এর পূর্বেও তিনি প্রায় তিন বছর একই পদে এখানে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলা সদরের পিরোজপুর গ্রামে। পিতার নাম মৃতঃ জাহার আলী এবং মাতা মোছাঃ ফজিলা খাতুন।
৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৬ সালে জন্ম নেয়া ইয়ারুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই চঞ্চল ও মেধাবী ছিলেন। তিনি ২০০২ সালে এসএসসি ২০০৪ সালে এইচ এসসি পাশ করেন। মেধার দক্ষতা দেখিয়ে তিনি এরপর ভর্তি হলেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর প্রতিযোগীতামুলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৩ সালে যোগদান করেন। প্রথমে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া , এরপর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, তারপর কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, ভেড়ামারা এবং সর্বশেষে পুনরায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় কর্মরত আছেন। এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার দক্ষতায় বিআরডিবি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল কার্যক্রম চলছে বলে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানা যায়।
সর্বদা তিনি বিআরডিবি’র বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কর্মকর্তা /কর্মচারী থেকে শুরু করে দল এবং সমিতির সদস্যা/সদস্যাদের কাছেও তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। একজন যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা /কর্মচারীদের কাছেও পেয়েছেন যোগ্য সন্মান। বর্তমানে তিনি উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী পালনেও তিনি সদা— সর্বদা সরব থাকেন। খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, আমি যতদিন থেকে তাকে চিনি ও জানি , তিনি একজন দক্ষ, সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা । নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকান্ডও দায়িত্বের সাথে পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রসংগে তিনি বলেন, এরুপ কোন বিষয় ইয়ারুল করেছে বলে মনে হয়না। আমার একজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে এধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। বিআরডিবি অফিসের সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রাশেদুজ্জামান রাজীব, মাঠ সহকারী ইস্তেকবাল চয়ন, মিজানুর রহমান, পরিদর্শক মোঃ ওয়াজেদ আলী, ইস্রাইল হোসেন, মাঠ সংগঠক লায়লা নুরজাহান মুর্শেদা, অফিস সহকারী ফিরোজা খাতুন, গ্রাম সংগঠক মোস্তফা শেখ সহ কর্মরত প্রায় সকলের সাথে আলাপকালে তারা একবাক্যে বলেন, স্যার একজন সৎ ও ভাল মানুষ। অফিস প্রধান হিসেবে তিনি অত্যন্ত দক্ষ।
অন্য যেকোন সময়ের থেকে স্যারের সময়ে অত্র দপ্তরের কাজে অগ্রগতি হয়েছে। ঋণ-দাদন, ঋণ আদায় সন্তোষজনক। পূর্বের খেলাপি ঋণ কমে এসেছে। নতুন করে কোন খেলাপি হচ্ছে না। তিনি সার্বক্ষনিক মনিটরিং, সমিতি/দল পরিদর্শন, সদস্য/সদস্যাদের প্রশিক্ষনসহ সর্বক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট থেকে কাজ করেন। জানা যায়, অত্র দপ্তরে প্রায় আট কোটি টাকা সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে বিতরন ও আদায় করা হয়।বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে অত্র অফিস সর্বদা নিবেদিত।পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সকলে একবাক্যে বলেন, স্যারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এমন কোন কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি জড়িত থাকতে পারেন না।কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা পয়সা নেওয়ার ধান্দা থেকে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে মনে হয়।তার সম্বন্ধে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আলাপকালে সর্বজনই তার প্রশংসা করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রশিদুল আলম বলেন, ইয়ারুল ইসলাম একজন দক্ষ কর্মকর্তা। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুইটি ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রশংসিত হন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, ইয়ারুল একজন বন্ধুসুলভ দায়িত্বশীল দক্ষ কর্মকর্তা। খোকসা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তৌফিক আহমেদ বলেন, বিআরডিবি অফিসের ঋণ কার্যক্রম ও বেতন ভাতাদির প্রায় সব এ্যাকাউণ্ট রয়েছে খোকসা সোনালী ব্যাংক শাখায়।সেই সুবাদে ইয়ারুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করছি।তিনি একজন বিশ্বস্ত ও যোগ্য ব্যক্তি।তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা জানাই।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (একটি বাড়ি একটি খামার) এর ব্যবস্থাপক সেলিম আহমেদ বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার’র শুরুর দিকেই ইয়ারুল ইসলামের সাথে কাজ করেছি।সেই কাজের সুবাদে বহু বিষয়ে তার সাথে আমার নানা কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তার থেকে ব্যবস্থাপকীয় নানান কাজের অভিজ্ঞতা আমার অর্জিত।তার দ্বারা কোন অনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটন অসম্ভব।উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ প্রায় সকলেই তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে খোকসা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদুল ইসলাম প্রবীন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ইয়ারুল ইসলামকে চিনি ও জানি।তার বিরুদ্ধে কখনও কোন অভিযোগ শুনিনি।এমন কিছু ঘটলে নিশ্চয় আমরা জানতাম।খোকসার কোন সাংবাদিক এটা করেছে বলে আমার মনে হয় না।
বিআরডিবি’র সাথে জড়িত কয়েকটি সমিতি/দলের সভাপতি, ম্যানেজার, ও সদস্য/সদস্যাদের সাথে ইয়ারুল ইসলাম সম্পর্কে কথা প্রসঙ্গে তারা সকলেই বলেন, স্যার খুব ভাল মানুষ। স্যারের সাথে সব সময় কথা বলা যায়।তিনি আমাদের সকল বিষয়ে খোঁজ খবরও নেন।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খোকসা উপজেলা কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি লিমিটেড (বিআরডিবি) এর চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আখতার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার পরিষদের অধিনে ইয়ারুল ইসলামের মতো একজন সৎ, দক্ষ, ভদ্র ও কর্মঠ অফিসারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট, ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেননা আমি দীর্ঘদিন তার সঙ্গে একত্রে কাজ করছি। তার বিরুদ্ধে কখনও কোন অভিযোগ প্রতীয়মান হয়নি।
তিনি একজন নিরেট ভাল মানুষ।উপজেলার সর্ব মহলে তার প্রশংসা ব্যতীত কোন দূর্নাম মেলেনি।উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সাথেই রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক।একজন দক্ষ, যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন উপজেলা সেরা কর্মকর্তা।বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।সার্বিক বিষয়ে ইয়ারুল ইসলামের সাথে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করে থাকি।লোকে খারাপ বলে এহেন কর্মকাণ্ড করিনা এবং কখনো করবোও না ইন শা আল্লাহ।