কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার একতারপুর গ্রামের চতুর্থ শ্রেনির এক স্কুল ছাত্র রাকিব। বাবার পাথি ভ্যান চালিয়ে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছিল প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য। পথিমধ্যে তার ভ্যানে চড়ে বসে বেতবাড়িয়া গ্রামের রিফাত। রিফাত রাকিবকে ম্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ভ্যানটি ছিনতা করে পালিয়ে যায়। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাকিব সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছে মামলার প্রস্তুতিও।
রাকিবকে বুধবার রাতে পাংশা উপজেলার কলিমহর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে একতারপুর পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনির ছাত্র। সে একই গ্রামের সাচ্চু শেখের ছেলে।
জানা গেছে, ওই ছাত্র সন্ধ্যায় বাবার ব্যাটারী চালিত পাখিভ্যান নিয়ে চটপচি খাওয়ার জন্য স্থানীয় একতারপুর হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে পাশের গ্রামের এক যুবক তার ভ্যানে ওঠে। হাটে এসে শিশুটিকে সাথে করে রান্না ছুলা খাওয়ায়। পানা টাকা আদায়ের কথা বলে ভ্যানসহ শিশুটিকে নিয়ে কলিমহর হাটে পৌচ্ছায়। তখন ঈশার নামাজের আযান হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে নির্জন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে শিশুটির গলায় বেল্ট জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে। তাকে রাস্তার পাশের একটি গবরের গাদায় ফেলে দিয়ে ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে রাস্তায় উঠে আসে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। শিশুটিকে হত্যা প্রচেষ্টা ও ভ্যান ছিনতাইয়ের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাকিব জানায়, সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে হাটে যাওয়ার সময় বেতবাড়িয়া গ্রামের রিফাত তার ভ্যানে ওঠে। তাকে কয়েক দফায় ছুলা চটপটি ও টাইগার খাওয়ায়। সে টাকা আদায় করতে যাওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। কলিমহর বাজার পার হয়ে গিয়ে চলন্ত ভ্যানের উপর থেকে রিফাত তার গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে ধরে। পরে তাকে গবরের গাদার কাছে ফেলে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।
আহত শিশুর মা হামিরন ও দাদা আব্দুল আজিজ জানান, ভ্যান ছিনতায় ও তার ছেলেকে হত্যা চেষ্টা চালানোর ঘটনায় তারা মামলা করবেন। তারা শিশু নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার সাইফুল আলম জানান, শিশুটির মুখসহ সারা শরীরে গরুর গবর মাখাছিল। পরিস্কারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল অফিসার এলে চিকিৎসা শুরু হবে।