খোকসা(কুষ্টিয়া)ঃ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার খেয়াঘাট গড়াই নদীর উপর অবস্থিত পশ্চিমপাড়া গনেশপুর, পূর্বপাড়া ভবানী পুর মৌজা পান্টি, গনেশপুর, লক্ষীপুর খেয়াঘাট এবং একতারপুর ভবানীপুর খেয়া পারাপারের জন্য খেয়াঘাট ইজারা বন্দোবস্ত সংক্রান্ত সিডিউল অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের অধীনে ২০২২/২৩ অর্থবছরে গড়াই নদীর উপর অবস্থিত ইজারা নিয়ে তালবাহানা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় খোকসায় তিনটি খেয়াঘাট তারমধ্যে ১/ খোকসা খেয়াঘাট ২/ গনেশপুর খেয়াঘাট ৩/ বামুনপাড়া খেয়াঘাট নামে তিনটি খেয়াঘাট থাকলেও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের কারচুপিতে তারা লক্ষ্মীপুর খেয়াঘাট নামে টেন্ডার বিক্রয় করেন বলে দাবি করেন। ইজারাগনের অভিযোগ আমরা খোকসার নাম থাকা টেন্ডার গুলো কিনলেও ভুলবশত লক্ষ্মীপুর খেয়াঘাট নামে অধিক মূল্য সিডিউল জমা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ ইমরান হোসেন বলেন আমি বিগত দিন যাবত সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে খেয়াঘাটের ইজারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি নতুন অর্থবছরে খেয়াঘাট ইজারা আদায়ের জন্য ২৮/০৪/২২ ইং তারিখে গনেশপুর খেয়াঘাট আমি সঠিক নামে সিডিউল ক্রয় করে ড্রপিং করে থাকি। কর্তৃপক্ষ ভুল করলেও আমি সঠিক গনেশপুর খেয়াঘাট নামের টেন্ডার ড্রপিং করে থাকি। আমি বৈধতা ফিরিয়ে পাবার জন্য কুষ্টিয়া জজকোর্টে লিগ্যাল নোটিশ লিপিবদ্ধ করি। সঠিক দিক বিবেচনা করলে খেয়াঘাটটি আমারই প্রাপ্য বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে বামুনপাড়া খেয়াঘাট ইজারাদার ইলাহি মন্ডল বলেন বামনপাড়া নামে কোন সিডিউল বিক্রয় হয়নি তারা লক্ষ্মীপুর খেয়াঘাট নামে সিডিউল ক্রয় করেছে লক্ষ্মীপুর খেয়াঘাটের কোনো বৈধতা নেই অতএব জেলা পরিষদের নতুন করে শিডিউলের ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা রিটেন্ডারের দাবি জানান।
আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান প্রকৌশলীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।